জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত হৃদয়ের লাশ কড্ডা নদীতে ফেলে দেয় পুলিশ: চিফ প্রসিকিউটর


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত হৃদয়ের লাশ কড্ডা নদীতে ফেলে দেয় পুলিশ: চিফ প্রসিকিউটর

জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে নিহত কলেজছাত্র হৃদয় হোসেনের মরদেহ গাজীপুরের কড্ডা নদীতে গোপনে ফেলে দেয় পুলিশ, এমন অভিযোগ করেছেন চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।

সোমবার, ১৩ অক্টোবর, এই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজন।

সেদিন ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর জানান, “শহীদ হৃদয়ের লাশের সন্ধানে কড্ডা নদীতে ডুবুরি নামিয়ে খোঁজা হয়েছিলো। কিন্তু নদীটি প্রচণ্ড খরস্রোতা হওয়ায় তার লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু লাশ না পেলেও হৃদয়কে গুলি করা পুলিশ কনস্টেবল আকরাম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।”

হৃদয় হোসেনের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার আলম নগর গ্রামে। তার বাবা লাল মিয়া। তিনি হেমনগর ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের জন্য কোনাবাড়ী এলাকায় অটোরিকশা চালাতেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিখোঁজ হন হৃদয়। সেই থেকে পরিবারের সদস্যরা তার খোঁজ করে চলেছেন, কিন্তু আজও তার লাশ পাওয়া যায়নি। স্বল্পআয়ের পরিবারের হাল ধরতে এবং নিজের পড়াশোনার খরচ চালাতে নিজেই উপার্জনের দায়িত্ব নিয়েছিলেন হৃদয়।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×