সাবেক এমপি ওমর ফারুক কারাগারে
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৬:২৩ পিএম, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার হওয়া নওগাঁ-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. ওমর ফারুক সুমনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত, জামিন আবেদন খারিজ করে।
বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আলম তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে রাখার আবেদন জানান।
আবেদনে বলা হয়, মামলার সঙ্গে ওমর ফারুক সুমনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তাকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে, যার যাচাই-বাছাই চলছে। তদন্ত চলমান থাকায় এবং অভিযুক্ত জামিনে মুক্তি পেলে তিনি পালিয়ে যেতে পারেন বা তদন্ত প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এ অবস্থায় তাকে রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়।
অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী রোকেয়া বেগম জামিনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আসামি একজন সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন এবং কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন না। তিনি একজন আইনজীবী এবং এই মামলার ঘটনায় তার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। ঢাকায় তার রাজনৈতিক ভিত্তি গড়ে ওঠেনি, এবং ভবিষ্যতেও গড়ানোর সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া, তিনি গুরুতর শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। চিকিৎসার অভাবে তার প্রাণহানি ঘটতে পারে।” তিনি যে কোনও শর্তে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. হারুন অর রশিদ জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থেই ওমর ফারুক সুমনকে কারাগারে রাখা জরুরি।
উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগের দিন, ৮ অক্টোবর রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা ওমর ফারুক সুমনকে গ্রেফতার করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ তিন রাস্তার মোড়ে ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন’ চলাকালে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিলে অংশ নেন ইমরুল কায়েস ফয়সাল (২৯)। অভিযোগ অনুসারে, সে সময় আন্দোলনকারীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়, যার ফলে ইমরুল কায়েস গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। পরে দীর্ঘ চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে তিনি মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন, যাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ১৮৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।