বিচারকদেরও জবাবদিহিতা থাকা উচিত: ট্রাইব্যুনাল
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১১:৩৭ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২৫

বিচারকদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। রোববার (১২ অক্টোবর) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে ট্রাইব্যুনাল এ মত দেয়।
দুপুর পৌনে ১২টায় যুক্তিতর্ক শুরু হয়। মামলার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এসময় তিনি সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের কার্যক্রম ট্রাইব্যুনালের সামনে উপস্থাপন করেন।
একপর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, “অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অব জুডিশিয়াল রয়েছে। কিন্তু জাজদের অ্যাকাউন্টেবিলিটির কোনো ব্যবস্থা নেই। অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা পড়ে আছে, আমরা বিচার করতে পারছি না। জনগুরুত্বপূর্ণ মামলা রেখে সরকারের অথরিটি পালন করছেন।”
বিচারকদের একটি নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আনতে হবে উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনাল বলেন, “বিচারের নামে স্বাধীনতা মানে আপনি যা খুশি তা করবেন, এটা না। জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কেউ অপরাধ করলে, তারও বিচার হওয়া উচিত।”
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এসব বলেছেন। বিগত সরকারের সময় বিচারকেরা বিচার ব্যবস্থাকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। আমরা আজ সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের প্রতারণা তুলে ধরেছি।”
তিনি আরও বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ে যে অংশ প্রথমে ওপেন কোর্টে ঘোষণা করেছিলেন, সেটি চূড়ান্ত রায়ের সময় বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি প্রধান বিচারপতির আসনে থেকেই স্বেচ্ছাচারিতা করেছেন।”
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “এই বিচারকরা গুরুত্বপূর্ণ মামলা ফেলে সরকারের ইচ্ছামতো মামলাকে অগ্রাধিকার দিতেন। কাউকে ফাঁসি দেওয়ার প্রয়োজন হলে সেই মামলা আগে তোলা হতো। বিচার বিভাগের এমন ব্যবহার স্বৈরশাসনকে শক্ত করেছে।”
তিনি জানান, “ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এই বিষয়ে বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনকে মত দিয়েছেন। যাতে ভবিষ্যতে কেউ যেন এই ধরনের ক্ষমতার অপব্যবহার না করতে পারেন, সে লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট বিধান থাকা প্রয়োজন।”