দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক মেয়র তাপসের তিন ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের নির্দেশ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৪:৪৪ পিএম, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিপুল সম্পদের অজানা উৎস ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের তিনটি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ এই আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে দাখিল করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একই দিন দুদকের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস রহমান আদালতে তাপসের ব্যাংক হিসাব জব্দের আবেদন করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাপস তার মেয়র এবং সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৭৩ কোটি ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭ টাকার সম্পদ অর্জন করেন, যা তার বৈধ আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, তাপসের নামে থাকা ২৭টি ব্যাংক হিসাবে ৫৩৯ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার ২৭৮ টাকা এবং ৫ লাখ ১৭ হাজার ৫২৭ মার্কিন ডলারের অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়া গেছে। এ লেনদেনের মাধ্যমে অর্থপাচারে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগও উঠে এসেছে।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ ফজলে নূর তাপস দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
দুদক আরও জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তির সমস্ত সম্পদের সঠিক হিসাব এখনো পুরোপুরি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে তিনটি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে, যাতে অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া না যায়। এজন্য মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ১৪ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭-এর ১৮ বিধি অনুসারে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তদন্তে আরও উঠে এসেছে, তাপস তার মালিকানাধীন সম্পদ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। মামলার নিষ্পত্তির আগেই এসব সম্পদ গোপনে স্থানান্তরের আশঙ্কা থেকে আদালত রাষ্ট্রের স্বার্থে তাৎক্ষণিকভাবে তার তিনটি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেন।