১৪ সাক্ষীর সাক্ষ্য-জেরা শেষ, ফের সাক্ষ্যগ্রহণ ১৫ অক্টোবর


১৪ সাক্ষীর সাক্ষ্য-জেরা শেষ, ফের সাক্ষ্যগ্রহণ ১৫ অক্টোবর

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের ঘটনায় আশুলিয়ায় ছয়জনের লাশ পোড়ানোসহ সাতজনকে হত্যা করার অভিযোগে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন ১৫ অক্টোবর।

বেলা ১১টার পর শুরু হওয়া এদিনের কার্যক্রমে শহীদ ওমর ফারুকের বাবা চান মিয়া ১৪তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরেন। এরপর পলাতক আট আসামির পক্ষে স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার এবং সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর আবদুস সোবহান তরফদার।

মামলার পূর্ববর্তী দিনগুলোতে বিভিন্ন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার (৮ অক্টোবর) নবম দিনের সাক্ষী হিসেবে এএসআই মনিরুল ইসলাম জবানবন্দি দিয়েছেন। ৭ অক্টোবর কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম সাক্ষ্য দিয়েছেন। ২৮ সেপ্টেম্বর সপ্তম দিনে একাত্তর টিভির স্থানীয় সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম অনিকের জেরা শেষ হয়। এছাড়া সেপ্টেম্বরের বিভিন্ন দিনে প্রত্যক্ষদর্শী শফিকুল ইসলাম, মতিবর রহমানসহ কয়েকজন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।

মামলার সূচনা বক্তব্য ১৪ সেপ্টেম্বর উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি গত বছরের ৫ আগস্ট আশুলিয়ার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন। ২১ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল ১৬ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। উপস্থিত আট আসামির সাতজন নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। তবে এসআই শেখ আবজালুল হক দোষ স্বীকার করেন এবং রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেন।

এই মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন: ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান, আবজাল এবং কনস্টেবল মুকুল। তবে সাবেক এমপি সাইফুলসহ আটজন এখনও পলাতক।

মামলায় গ্রেপ্তারিদের বিরুদ্ধে ৩১৩ পৃষ্ঠার তথ্যসূত্র, ৬২ জন সাক্ষী, ১৬৮ পৃষ্ঠার দালিলিক প্রমাণাদি ও দুটি পেনড্রাইভ যুক্ত করা হয়েছে।

গত বছরের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে ছয় তরুণ নিহত হন। এরপর তাদের লাশ পুলিশ ভ্যানে তুলে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। নৃশংস ঘটনার সময় একজনও বেঁচে থাকেনি; পেট্রোল দিয়ে জীবন্ত মানুষকেই পুড়িয়ে মেরেছেন। ১১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×