যে কারণে আদালতে অঝোরে কাঁদলেন মেঘনা আলম
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৬:২১ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলার জেরে জব্দ হওয়া মোবাইল ফোন, আইপ্যাড এবং পাসপোর্ট নিজের নিকট ফেরত চেয়ে আবেদন করেছেন মেঘনা আলম। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমানের আদালতে হাজির হন তিনি।
মেঘনার পক্ষে তার আইনজীবী মহসিন রেজা পলাশ ও মহিমা ইসলাম বাঁধন আদালতে জব্দকৃত আলামত নিজের কাছে ফেরত চেয়ে আবেদন করলে, বিচারক তা নাকচ করেন। শুনানি শেষে মেঘনা অঝোরে কাঁদতে থাকেন। গণমাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “তারা আমার বিরুদ্ধে একটার পর একটা মিথ্যা বলছে। সব মানুষের সামনে আমাকে অপমানিত করা হয়েছে। আদালতে যদি একটার পর একটা মিথ্যা বলা হয়, আমরা কীভাবে ন্যায় পাব?”
আসামিপক্ষের আইনজীবী মহসিন রেজা দাবি করেন, ফরেনসিক রিপোর্ট এখনও সম্পন্ন হয়নি, তাই তদন্ত কর্মকর্তা সময় চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, “জামিন পাওয়ার পরও দুই মাস পার হয়েছে। মোবাইল, ল্যাপটপের ফরেনসিক রিপোর্ট দেরি করা হচ্ছে, যাতে বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করা যায়। আমাদের আশা, পরবর্তী শুনানিতে আমরা এগুলো ফেরত পাব।”
তিনি আরও জানান, ৩১ আগস্ট আদালত মেঘনাকে পাসওয়ার্ড দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল, তবে তদন্ত কর্মকর্তা এখনও তা পাননি। তাই মোবাইল ও ল্যাপটপে কোনো রাষ্ট্রবিরোধী উপাদান আছে কিনা জানা যায়নি। পাসপোর্ট দেওয়া হলে সে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারে।
রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হারুনুর রশিদ জানান, গ্রেফতারের সময় মেঘনা আলমের কাছ থেকে দুটি মোবাইল, একটি ল্যাপটপ এবং একটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। আদালত আদেশে উল্লেখ করেছেন, জব্দকৃত আলামত বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা হয়েছে কি না এবং মোবাইল ও ল্যাপটপে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো উপাদান আছে কি না, তা তদন্তের জন্য প্রতিবেদন দাখিল করা প্রয়োজন।
এর আগে, ২৮ এপ্রিল ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল হওয়ার পর মেঘনা কারামুক্ত হন। তিনি জামিনে আছেন।
চাঁদাবাজি মামলার অভিযোগে জানা যায়, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমির এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের মাধ্যমে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের ফাঁদে ফেলে, অবৈধ সম্পর্ক তৈরি করে সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করতেন। এই মামলার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের নামও বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।