বিসিবি নির্বাচনে বাধা নেই, সভাপতির চিঠি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৯:০৮ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর মনোনয়ন সংক্রান্ত সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের চিঠির কার্যকারিতা হাইকোর্ট ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করার পর এ আদেশ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত স্থগিত করেছেন। ফলে আগামী ৬ অক্টোবর নির্ধারিত বিসিবি নির্বাচন নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হওয়ার পথে রয়েছে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত রোববার স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। এ স্থগিতাদেশের মেয়াদ আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। আর নির্বাচনের বিরোধী পক্ষের পক্ষে ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। বিসিবির পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মাহিন এম রহমান।
বিসিবির আইনজীবী মাহিন এম রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “হাইকোর্টের আদেশে চেম্বার আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশের মেয়াদ আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে বিসিবির নির্বাচন সামনে রেখে যে কার্যক্রম চলছে, তা অব্যাহত থাকবে এবং নির্বাচনে কোনো বাধা থাকবে না।”
আগামী ৬ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, যা ঘোষিত হয়েছিল গত ২১ সেপ্টেম্বর। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে একজন সাবেক খেলোয়াড় বা ক্রীড়া সংগঠককে কাউন্সিলর হিসেবে মনোনয়ন দিতে হয়। মনোনীত কাউন্সিলররা পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন।
১ সেপ্টেম্বর জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে কাউন্সিলর মনোনয়ের জন্য চিঠি দেওয়া হয়। মনোনীত কাউন্সিলরদের নাম জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল ১৭ সেপ্টেম্বর। অনেক জেলা ও বিভাগ থেকে সাবেক খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠকরা মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তবে ১৮ সেপ্টেম্বর বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয় যে, অ্যাডহক কমিটির সদস্যদের মধ্যে থেকে কাউন্সিলর মনোনয়ের বিষয়টি যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি। তাই আগের ফরম বাতিল করে নতুন ফরম পূরণ করে ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কাউন্সিলরদের নাম জমা দিতে বলা হয়।
চিঠির কার্যকারিতা চ্যালেঞ্জ করে মনোনীত কাউন্সিলররা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। রিটে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের বেঞ্চ ১৮ সেপ্টেম্বর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দেওয়া ওই চিঠি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পাশাপাশি চিঠির কার্যকারিতা ১৫ দিনের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। এর ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেন এবং আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত সেই আবেদন মুলতবি রেখে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।
বিসিবির নির্বাচনে এবার যে কোনওরকম আইনি জটিলতা নেই বলে বোর্ডের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। আগামী ৫ অক্টোবর পর আবার শুনানি শেষে স্থগিতাদেশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।