নাহিদ ইসলাম
‘৪ আগস্টই নতুন সরকার গঠনের প্রস্তুতিতে ড. ইউনূসের সঙ্গে কথা হয়’
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০২:০২ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

২০২৪ সালের ৪ আগস্ট একটি সম্ভাব্য নতুন সরকার গঠনের প্রাক্-পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল বলে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, তাকে সেই সরকারে প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন তিনি। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে সাক্ষ্য চলাকালে উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ অন্যান্য প্রসিকিউটররা।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন আসামিপক্ষ শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে তাকে জেরা করবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে, ১০ জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করেছিলেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। সেই দিন তিনি ট্রাইব্যুনালে বলেন, "জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালে আমাদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা সংঘটনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য। এ ঘটনায় আমি নিজেকে দোষী সাব্যস্ত করছি। আমি রাজসাক্ষী হয়ে জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলাকালে যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তার বিস্তারিত আদালতে তুলে ধরতে চাই। রহস্য উন্মোচনে আদালতকে সহায়তা করতে চাই।"
এই স্বীকারোক্তি আসে অভিযোগ গঠন প্রক্রিয়ার সময়, যেখানে বিচারপতি গোলাম মর্তূজার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের বেঞ্চ উপস্থিত ছিল।
সেই দিনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল-১। আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে এই সিদ্ধান্ত দেন।
প্রসিকিউশন পক্ষ থেকে এই মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি ভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগনামা বিশাল এক নথি; যার মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা ৮ হাজার ৭৪৭। এর মধ্যে তথ্যসূত্র রয়েছে ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠায়, জব্দতালিকা ও অন্যান্য দালিলিক প্রমাণ রয়েছে ৪ হাজার ৫ পৃষ্ঠায় এবং শহীদদের তালিকার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠায়। মামলায় সাক্ষ্য দেবেন মোট ৮১ জন সাক্ষী।