অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির
‘বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ জারির মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানকে পাকাপোক্ত করতে হবে’
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১১:৩৭ এম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গণঅভ্যুত্থানের ভিত্তিতে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সাংবিধানিক অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে যদি না সংবিধানে বিশেষ কোনো আদেশ জারি করা হয়; এমনটাই মনে করছেন সংবিধান ও ফৌজদারি আইনের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি বলেন, “বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ জারি করতে হবে। গণঅভ্যুত্থান তথা জনগণের ক্ষমতাকে সাংবিধানিকভাবে পাকাপোক্ত করতে হবে। সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের বেড়াজাল থেকে বের হতেই হবে।”
ঢাকা পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না থাকলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে সাংবিধানিক জটিলতায় পড়তে পারে। তিনি বলেন, “বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ জারির মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে অন্তর্বর্তী সরকার সাংবিধানিক সংকটে পড়বে। এই যে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন করার কথা বলা হচ্ছে। এর আইন কোথায়? কোনো আইনে নির্বাচন হবে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হবে সেটা ভবিষ্যতে প্রশ্নের মুখে পরবে।”
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণা আসে। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের আওতায় মতামত চাওয়া হয়, যেখানে তারা অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পক্ষে মত দেয়।
আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশ এই মতামতকে অন্তর্বর্তী সরকারের সাংবিধানিক বৈধতার ভিত্তি হিসেবে দেখছেন। তবে শিশির মনিরের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। তাঁর মতে, এ সরকার কোনো প্রচলিত সাংবিধানিক কাঠামোর আওতায় গঠিত হয়নি, বরং এটি একটি গণঅভ্যুত্থানের ফসল। সে কারণেই তিনি বলছেন, “এই অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সাংবিধানিক সরকার নয়। এটা গণঅভ্যুত্থানের সরকার। তাই বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ জারির মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানকে আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে।”