উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে প্রকল্প ফাইল আটকে রাখার অভিযোগ চসিক মেয়রের


উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে প্রকল্প ফাইল আটকে রাখার অভিযোগ চসিক মেয়রের

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের ফাইল উপদেষ্টা বাসায় নিয়ে যান এবং আর ফেরত দেন না, ফলে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে।

গতকাল সোমবার নগরীর জামালখানে চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি (সিআইইউ) ক্যাম্পাসে আয়োজিত পরিচ্ছন্নতা সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ অভিযোগ করেন মেয়র।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। সিআইইউ বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক ড. মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী খালেদ নগর পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন।

মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের তিনটি প্রজেক্ট এখনো এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে আছে। অ্যাডভাইজার সাহেব যখন দেখেন যে এটি একটি প্রজেক্ট, তখন উনি ফাইলটি বাসায় নিয়ে যান। ফাইল আর মন্ত্রণালয়ে পাওয়া যায় না। আমি খুঁজতে খুঁজতে জানতে পারি, ফাইলটি বাসায় নিয়ে গেছে। এরপর এটি আর সিগনেচার হয় না।

তিনি হতাশা প্রকাশ করে আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ের সহায়তা না পাওয়ায় যুক্তরাজ্য, জাপান ও কোরিয়ার প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছেন। ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের বাজেট অর্থ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে কমে দাঁড়িয়েছে ২৯৮ কোটি টাকায়। তাঁর ভাষ্য, রাষ্ট্র একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

চট্টগ্রামের চিরচেনা সমস্যার প্রসঙ্গ টেনে মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামের বড় সমস্যা। অ্যাডভাইজারকে কয়েকবার অনুরোধ করেছি, তবে তিনি বললেন আগে জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান হোক। আমি ৫০-৬০ শতাংশ জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান করেছি, তবে এখনো প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পাইনি।

মেয়রের বক্তব্যের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, আমরা সব মন্ত্রণালয় ফাইন্যান্স মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাজেট প্রাপ্তি নিয়ে আলোচনা করি। মূল্যস্ফীতির কারণে যদি ৫ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেটি গ্রহণ করুন এবং চট্টগ্রামের মানুষকে বঞ্চিত না করে কাজ শুরু করুন। জলাবদ্ধতা দূরীকরণে এ বছর উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিআইইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এম নুরুল আবসার। এতে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল করিম, চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এবং দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×