তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে ফের আপিল শুনানি বুধবার
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৪:২৪ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে করা আপিলের শুনানি ফের শুরু হচ্ছে আগামী বুধবার, ২২ অক্টোবর। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিষয়টি নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বিভাগীয় বেঞ্চ।
এদিন রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
এর আগে, গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দিয়েছিল আদালত। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এরপরই আপিল করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে যুক্ত করা হয়েছিল ১৯৯৬ সালে পাস হওয়া ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। কিন্তু এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী। প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করে এবং ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট দেওয়া চূড়ান্ত রায়ে ত্রয়োদশ সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি পাওয়ার পর ২০০৫ সালে রিটকারীরা আপিল করেন। সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ওই সংশোধনী বাতিল করে রায় দেয়, যার মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়।
পরবর্তীতে এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে পাস হয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী, যা ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় এবং ৩ জুলাই গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
দীর্ঘ বিরতির পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট নতুন করে রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন বদিউল আলম মজুমদার, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। এরপর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৬ অক্টোবর পৃথক একটি আবেদন করেন। জামায়াতে ইসলামীর অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর একই রকম আবেদন জমা দেন।
এছাড়া নওগাঁর রানীনগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও গত বছর তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।