এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলা: যুবদলের দুই নেতাকে শোকজ


এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলা: যুবদলের দুই নেতাকে শোকজ

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ফরিদপুর জেলা যুবদলের শীর্ষ দুই নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি।

রবিবার, ১৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুর সদরের পরমানন্দপুর বাজারে জনসংযোগের প্রস্তুতির সময় আজাদের বহরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন, সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে কেন্দ্রীয় যুবদলের সহদপ্তর সম্পাদক মিজানুর ইসলাম ভূঁইয়ার স্বাক্ষরে জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে পাঠানো হয় শোকজ চিঠি।

চিঠিতে বলা হয়, “আপনারা যথাক্রমে জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্বে থেকেও জেলা যুবদলের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় শৈথিল্য প্রদর্শন করায় সংগঠনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে মর্মে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়েছে।”

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, “এমতাবস্থায়, সংগঠনের শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী এহেন কর্মকাণ্ডের জন্য আপনাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।”

চিঠিটি যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশক্রমে প্রেরিত বলে উল্লেখ করা হয়।

রবিবারের ঘটনার সময়, ফরিদপুর সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান এবং কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নান্নু মোল্লার নেতৃত্বে একটি মিছিল সেখানে হাজির হয়। তারা এ কে আজাদকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ বলে স্লোগান দিতে থাকে এবং ‘অ্যাকশন, অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ বলে উত্তেজনা ছড়ায়।

মিছিলে অংশ নেওয়া একজনের হাতে কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী চৌধুরী নায়াব ইউসুফের পোস্টারও দেখা যায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বহরের শেষের দুটি গাড়িতে আখ ছুড়ে মারার পাশাপাশি কাচ ভাঙচুর করা হয়।

ঘটনার পর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন দাবি করেন, “পরমানন্দপুরে আমাদের কোনো ইউনিট নেই। যারা ঘটনাস্থলে ছিলেন, তারা যুবদলের সংগঠিত কমিটির কেউ নন।”

অন্যদিকে, সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীতে নিজের বাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কে আজাদ বলেন, “তারা (যুবদল) টার্গেট করেছে আমাকে, কারণ আমি সমাজসেবামূলক কাজ করি। আমার জনপ্রিয়তা বাড়ছে, আর এই জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তারা হামলা করেছে।”

তবে বিষয়টি ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেন চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। সোমবার দুপুরে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “এ কে আজাদ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ে ঘোরেন। আমাদের শান্তিপ্রিয় নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত ছিলেন। তার বহরে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত কিছু সন্ত্রাসীর উপস্থিতি দেখে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।”

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×