মনপুরায় ১৬টি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের কর্মবিরতি
- ভোলা প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:০২ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে শিক্ষা কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। দেশের অন্যান্য এলাকার মতোই, শিক্ষকরা তাদের ন্যায্য দাবির পক্ষে এবং পুলিশের বলপ্রয়োগের প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করছেন।
সোমবার, ১৩ অক্টোবর থেকে মনপুরার মোট ১৬টি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি কলেজ এবং ৬টি মাদ্রাসা। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তাদের দাবির বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন।
শিক্ষকদের এই আন্দোলনের ফলে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পুরোপুরি স্থবিরতা নেমে এসেছে। প্রতিদিনের মতো সকালবেলা স্কুলে এলেও ক্লাস না হওয়ায় হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। কবে থেকে আবার নিয়মিত পাঠদান শুরু হবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য জানা যায়নি।
সাকুচিয়া বদিউজ্জামান দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী শান্তা, মালিহা, জান্নাত ও জেমিমা জানান, “আমরা ক্লাস করার জন্য প্রতিদিনের মতো মাদ্রাসায় আসি। এসে জানতে পারি আমাদের শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে রয়েছেন। তাই ক্লাস না করেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।”
মনপুরা ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো. মাহমুদুল হাসান অভিযোগ করেন, “এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সবসময় অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার। শিক্ষকদের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির ন্যায্য দাবি জানাতে গিয়ে পুলিশের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন আমাদের বহু শিক্ষক। তারই প্রেক্ষিতে দেশের সকল শিক্ষকদের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে পুলিশি হয়রানীর প্রতিবাদ জানিয়ে আমাদের এই কর্মবিরতি পালন।”
এ বিষয়ে মনপুরা ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ ও শিক্ষকনেতা মাওলানা আমীমুল ইহসান জসিম বলেন, “দেশের সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ন্যায্য দাবী ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করতে হবে। এবং সেই দাবী আদায়ের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে আমরা কর্মবিরতি ঘোষনা করেছি। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।”