বিএনপিতে সন্ত্রাসী-দুষ্কৃতকারীদের জায়গা নেই: বিজিএমইএ সভাপতি

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ও বিএনপি নেতা মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেছেন, বিএনপি শান্তিপ্রিয় রাজনৈতিক দল— এখানে কোনো সন্ত্রাসী বা দুষ্কৃতকারীর স্থান নেই।

শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামে সম্প্রতি খুন হওয়া দুই ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের খোঁজখবর নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, “দুষ্কৃতকারী ও খুনিদের কোনো দল, ধর্ম বা বর্ণ নেই। যারা এমন অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তারা যদি দলের কোনো পদে থেকেও থাকে, প্রথম সিদ্ধান্ত হবে তাদের বহিষ্কার করা। পাশাপাশি দলের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ন্যায়বিচার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “যদি কোনো পর্যায়ের নেতা ন্যায়বিচারের পথে বাধা সৃষ্টি করেন, তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএনপি হচ্ছে জনগণের দল, শান্তিপ্রিয় দল— এখানে কোনো সন্ত্রাসী বা দুষ্কৃতকারীর স্থান নেই।”

এর পর দুপুর ১টার দিকে তিনি জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর বাজারের কাছে ভেঙে যাওয়া একটি ব্রিজ পরিদর্শন করেন।

এ সময় বিএনপির এই নেতা বলেন, “বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বৃহত্তম দল। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩০০ আসনেই প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। এখন আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক বলে কিছু নেই— সবাই মাঠে নেমে গেছে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত কাজ করছেন। উথলী ইউনিয়নের চারটি ব্রিজ অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে— এসব অবকাঠামো মেরামতে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করব।”

চুয়াডাঙ্গা-২ আসন থেকে নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, “আমি কখনো বলিনি যে এখানে নির্বাচন করব না, আবার এটাও বলিনি যে নিশ্চিতভাবে করব। দল যদি নমিনেশন দেয়, তাহলে অবশ্যই নির্বাচন করব। এখন বিজিএমইএ সভাপতি হিসেবে জাতীয় দায়িত্ব পালন করছি, সেটাই অগ্রাধিকার।”

তিনি আরও বলেন, “দল, কর্মী ও জনগণ যদি চান, তাহলে অবশ্যই আমি নির্বাচন করব। কেউ কেউ এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু এসব গুজবে কান দেওয়ার প্রয়োজন নেই।”