সোহাগ হত্যাকাণ্ডের দায় তারেক জিয়াকে নিতে হবে: ফয়জুল করীম
- বরিশাল প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৯:১৮ পিএম, ১২ জুলাই ২০২৫

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের দায় এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। এই ঘটনার জন্য তারেক রহমান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং প্রশাসনকেও সমানভাবে দায় নিতে হবে।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে বরিশালের সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলে ইসলামী যুব আন্দোলনের বরিশাল জেলা ও মহানগর শাখার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়জুল করীম বলেন, এক সময় এক আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ড আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়েছিল। ঠিক তেমনি এবার সোহাগ হত্যাকাণ্ডে বিএনপিও নিজেদের অবস্থান দুর্বল করছে।
তিনি দাবি করেন, বিএনপি এখন পর্যন্ত ৩ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করলেও চাঁদাবাজি, খুন কিংবা নিপীড়নের মতো অপরাধ কমেনি। তার মতে, এই বহিষ্কার শুধু লোক দেখানো, যা আসলে মূল সমস্যার কোনো সমাধান নয়। তিনি দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে দুর্নীতি ও অপরাধের “ফ্যাক্টরি” হিসেবে অভিহিত করেন।
আবরার হত্যার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যারা তাকে হত্যা করেছে, তারা মেধাবী ছাত্র ছিল। কিন্তু দলে যোগ দিয়ে অপরাধী হয়ে উঠেছে। একইভাবে অনেক মেধাবী তরুণ রাজনৈতিক দলে যুক্ত হয়ে পরিণত হচ্ছে ধর্ষক ও সন্ত্রাসীতে।
পুলিশ প্রশাসনকে নিয়েও অভিযোগ করেন ফয়জুল করীম। তিনি বলেন, সোহাগ হত্যা মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করা হচ্ছে। ঘটনাটি ভাইরাল না হলে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হতো না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সমাবেশে ইসলামী যুব আন্দোলনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফয়জুল করীম বলেন, একটি শোষণমুক্ত, নির্যাতনমুক্ত সমাজ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বিশ্বাস করেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশই একদিন দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে।
সম্মেলন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়, যা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। ঢাকায় সোহাগ হত্যাসহ সারা দেশে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী এবং বরিশাল জেলা সভাপতি উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা রেজাউল করীম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা সুলাইমান ও মাওলানা জাহিদুল ইসলাম।