ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার ঘটনায় মাদারীপুরের তামিমের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
- মাদারীপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৪:৪১ পিএম, ১৫ মে ২০২৫
.png)
মাদারীপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত তামিম হাওলাদারের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনা ঘটে দুটি ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে মাদারীপুর সদর থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এরআগে মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে ছুরিকাঘাতে নিহত হন সাম্য। সাম্য সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ফখরুল আলমের ছেলে। তিনি ছাত্রদলের স্যার এ এফ রহমান হল শাখার সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন।
গ্রেপ্তার তামিম হাওলাদার ব্রাহ্মন্দী এলাকার এরশাদ হাওলাদারের ছেলে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন, একই এলাকার পলাশ সরদার ও ডাসার উপজেলার সম্রাট মল্লিক।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল খাঁ ও রুবেল খাঁর লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কাজ করতো গ্রেপ্তার তামিম ও পলাশ। আওয়ামী লীগের দলীয় কোন পদ-পদবি ছিল না তাদের। কিন্তু তারা আওয়ামী লীগের ছত্র-ছায়ায়ই চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে সাথে জড়িত ছিলেন। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর তামিম ও পলাশ ঢাকায় চলে যায়। এরপর আর বাড়িতে আসেনি। পলাশের বাবা কালাম সরদার এক সময় পালকী বহন করে জীবিকা নির্বাহ করতো। অন্যদিকে তামিমের বাবা এলাকায় জমি বেঁচা-কেনার সাথে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তার সম্রাট মাদকাসক্ত হিসেবে এলাকায় পরিচিত। বেশ কিছুদিন আগে মসজিদের মাইক লাগানো নিয়ে এলাকায় ছাত্রদের মারধর করে। এ নিয়ে ডাসার থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগও রয়েছে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চাতক চাকমা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনের বাড়িই মাদারীপুর জেলায়। এদের মধ্যে তামিম হাওলাদার ও পলাশ সরদারের বাড়ি সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী গ্রামে। অপরজনের বাড়ি ডাসার উপজেলার শশিকরে। এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় তামিম হাওলাদারের বাড়িতে বিক্ষুব্ধরা অগ্নিসংযোগ করার খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্য দুইজনের বাড়িতে এখনও কেউ অগ্নিসংযোগ বা ভাঙচুর করেছে বলে কোনো খবর পাইনি।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল হোসেন জানান, ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।