এ্যানিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে: ইসলামী আন্দোলন
- লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১২:৩১ এম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বললেন ইসলামী আন্দোলন লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে ইসলামী আন্দোলন লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওঃ মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের কাছে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তা উল্লেখ করা হয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন ও সেক্রেটারি মাওলানা জহির উদ্দিন এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। সোমবার এ্যানি এক জনসভায় বক্তব্য দানকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই সম্পর্কে অশ্লীল, মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছে; তা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। এ্যানির মতো একজন ব্যক্তি এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রাজনৈতিক এবং সচেতন মহলকে ব্যথিত করেছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, বিএনপি হচ্ছে ডিরেক্ট স্বৈরাচারের সঙ্গী। কারণ তারা ২০১৮ সালের অবৈধ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়ে সংসদে তাদের ৬ জন এমপি পাঠিয়েছে। ২০১৮-এর ডামি নির্বাচনের স্বীকৃতি দানকারী দল হলো বিএনপি। এখন তারা পাগলের মতো আবোল তাবোল বলে উর্দুর পিন্ডি বুধুর ঘাড়ে চাপাতে চাচ্ছে। অর্থাৎ নিজেদের দোষ আড়াল করার হীন চেষ্টা করছে। পাবলিক সেন্টিমেন্টকে ভিন্ন দিকে ডাইভার্ট করার পায়তারা করছে।
জাতীয় চাঁদাবাজরা মিথ্যা ছাড়া কিছু বলতে পারে না। মিথ্যা কথা বলাই এ্যানি চৌধুরীদের পুঁজি! যা বাংলাদেশের মানুষ এখন বুঝে গেছে। আমরা তার মিথ্যা কথা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাই।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, মূলত ৫ আগস্টের পর ইসলামপন্থীদের ঐক্য এবং এক ব্যালে ভোটের প্রক্রিয়াকে বিএনপি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না। নির্বাচনে বিএনপির জন্য একমাত্র বাধা 'ইসলামী জোট'। এতে তাদের ভরাডুবি জেনে তারা ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল এবং জাতীয় ব্যক্তিদের নিয়ে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বেইমান তো তারা, যারা শহীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, লুটপাট, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে।