চাকসু নির্বাচন: অমোচনীয় কালি মুছে যাওয়ার অভিযোগ
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০১:০৫ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল সংসদ ও হোস্টেল সংসদের নির্বাচন ঘিরে উঠেছে অমোচনীয় কালি নিয়ে গুরুতর অভিযোগ। ভোটারদের আঙুলে দেওয়া কালি সহজেই মুছে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন একাধিক পক্ষ।
বুধবার দুপুরে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়। তিনি লিখিত অভিযোগ জমা দেন চাকসু নির্বাচন কমিশনের কাছে।
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন এবং কমিশনের তত্ত্বাবধায়ক, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল হোসেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, “আমরা এই দায়টি স্বীকার করে নিচ্ছি। তবে, এটি কেবল আমাদের সমস্যা নয়। আমি ডাকসুর নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে ছিলাম। ডাকসুতেও একই সমস্যা হয়েছে। আসলে জাতীয় নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশের অন্য নির্বাচনগুলোতে অমুছনীয় কালি ব্যবহার হয় না। চাকসু নির্বাচনে অমুছনীয় কালি ব্যবহারের সুযোগ ছিলো না। তবে, এর কারণে নির্বাচনে কোন প্রভাব পড়বে না।”
এ বিষয়ে কমিশনের তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ড. মো. কামাল হোসেন বলেন, “জাতীয় নির্বাচনে দেশের বাহির থেকে বিশেষ চাহিদায় অমুছনীয় কালি আমদানি করা হয়। নির্বাচন শেষে অতিরিক্ত কালিগুলো ধ্বংস করে ফেলা হয়। ডাকসু-জাকসুতেও আমাদের মতো একই কালি ব্যবহার হয়েছে। তবে, এটা ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় কোন সমস্যা হবে না। কারণ, প্রত্যেক ভোটারের ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা করা হয়েছে। তাকে তার নামের পাশে স্বাক্ষর করে ভোট দিতে হচ্ছে। কেউ চাইলেই আঙুলের কালি মুছে আবার ভোট দিতে পারবে না।”
চাকসু ও হল সংসদের এই নির্বাচন শুরু হয়েছে বুধবার সকাল ৯টা থেকে এবং চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে চাকসুর ২৬টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী। আর হল সংসদের ১৪টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন ৪৯৩ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন।