গবেষণার মানদণ্ডে বিশ্ব তালিকায় নোবিপ্রবির অবস্থান ৭২২তম
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১০:৩৬ এম, ১০ অক্টোবর ২০২৫

প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থানের গৌরব অর্জন করেছে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর ২০২৫) যুক্তরাজ্যভিত্তিক উচ্চশিক্ষা বিষয়ক সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) কর্তৃক ২০২৬ সালের প্রকাশিত তালিকায় গবেষণার মানদণ্ডে বিশ্ব তালিকায় অবস্থান ৭২২তম। এছাড়া সামগ্রিক বিবেচনায় বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে নোবিপ্রবি ১২০১ থেকে ১৫০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে। টিএইচই তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে। তালিকায় বাংলাদেশের মোট ২৮টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে নোবিপ্রবির অবস্থান ১২তম।
এ বিষয়ে নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম মাইলফলক ছুঁয়েছে নোবিপ্রবি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হলো নোবিপ্রবির বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা করে নেয়া। এজন্য বিশেষ অভিনন্দন জানাই জুলাই বিপ্লবের পর গঠিত নোবিপ্রবি র্যাঙ্কিং সেলকে, যাদের নিরলস পরিশ্রমে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই সাফল্য ধারাবাহিক প্রচেষ্টা ও একাগ্রতার ফসল।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি, এলাকাবাসীসহ সকল অংশীজনদের সহযোগিতায় ভবিষ্যতেও নোবিপ্রবির সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য ও র্যাংকিং সেলের পরিচালক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক বলেন, নোবিপ্রবিতে যোগদানের পরই উপাচার্যের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় স্বতন্ত্র একটি র্যাঙ্কিং সেল গঠন করা হয়। বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ডেডিকেটেড সেল নেই। প্রায় এক বছর ধরে চলমান কাজের স্বীকৃতিই হলো নোবিপ্রবির বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে আজকের অবস্থান। এ কাজে সংশ্লিষ্ট র্যাঙ্কিং সেলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সকলের অবদান রয়েছে, এজন্য সবাইকে অভিনন্দন জানাই।
প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের ১১৫টি দেশ ও অঞ্চলের ২১৯১টি বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এবারও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। টাইমস হায়ার এডুকেশন বিশ্বব্যাপী পাঁচটি মানদণ্ডে- শিক্ষা, গবেষণা পরিবেশ, গবেষণার গুণগত মান, শিল্পখাতে অবদান এবং আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গির ওপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাঙ্কিং নির্ধারণ করে।