
কলকাতা, হায়দরাবাদ ও মুম্বাই থেকে শুরু করে ভারতের সফর শেষ করলেন ফুটবলের সুপারস্টার লিওনেল মেসি। তবে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের জন্য অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক এই সফর, মাত্র ১০ ঘণ্টার দিল্লি অবস্থানেই শারীরিকভাবে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
দিল্লির বাতাস বর্তমানে অত্যন্ত বিষাক্ত। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজধানীর বাতাসে কয়েক ঘণ্টা শ্বাস নেওয়া মানেই একজন ব্যক্তির একদিনে ২৭টি সিগারেট খাওয়ার সমান ক্ষতি।
সোমবার সকালে জাহাঙ্গিরপুরার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ৪৯৮-এ পৌঁছে যায়, যা ‘গুরুতর’ পর্যায়ে গণ্য করা হয়। রবিবারের তুলনায় সোমবার দূষণের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, একিউআই ৪৯৪ অতিক্রম করা মানেই দিল্লিবাসীর জন্য দৈনিক ২৭টি সিগারেটের সমতুল্য ক্ষতির ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
বিশ্বমানের ক্রীড়াবিদ মেসির এই পরিস্থিতিতে দিল্লি সফর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চরম আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এক জনপ্রিয় মিমে লেখা হয়েছে, “মেসি, তোমাকে দিল্লিতে স্বাগত। শুনেছি তোমার বাঁ পা ৯০০ মিলিয়ন ডলারে বীমা করা আছে। কিন্তু ফুসফুসের কী হবে?”
দীপাবলির পর থেকে দিল্লির বাতাস মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় দিল্লি সরকার ‘ক্লাউড সিডিং’-এর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়েছে। তিনটি ট্রায়ালে প্রায় ১.০৭ কোটি টাকা খরচের পরও দূষণ কমার বদলে বেড়েই গেছে।
উল্লেখ্য, মেসি ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে কলকাতায় পৌঁছান। সেখানে নিজের ভাস্কর্য উদ্বোধন করার পর যুবভারতীতে বিশৃঙ্খলার কারণে দ্রুত হায়দরাবাদে যান। এরপর মুম্বাই সফরে তিনি শচীন টেন্ডুলকার এবং বলিউড তারকাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দিল্লি আগমনের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তার দেখা হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়।