
ভোলার চরফ্যাশনে জামায়াতে ইসলামী নেতাকর্মীদের নির্বাচনি গণসংযোগে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে নেতাদের দাবি অনুযায়ী ২০ জন জামায়াতের নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনা ঘটেছে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জিন্নাগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চকবাজার এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে জামায়াতের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেলযোগে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনি গণসংযোগে নামেন। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চকবাজার এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা হঠাৎ তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলার জবাবে জামায়াতের নেতাকর্মীরাও আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলেছে।
জামায়াতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিএনপির হামলায় ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জনকে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে বিএনপি নেতারা পুলিশের উপরও চড়াও হন। পরে নৌবাহিনীও এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
জামায়াতে ইসলামী মিডিয়া সম্পাদক অধ্যাপক মো. আমির হোসেন এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।” তিনি আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং ভবিষ্যতে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচির নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করেন।
অপর দিকে, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মঞ্জুর হোসেন বলেন, “জামায়াতের নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণার নামে ইসলাম নিয়ে জনগণকে ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, এমন ঘটনায় স্থানীয়রা তাদের ওপর চওড়া হয়। একপর্যায়ে জামায়াতের নেতা-কর্মীরাই স্থানীয়দের উপর হামলা চালায়। তাতে করে সেখানে থাকা আমাদের বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে কয়েকজন আহত হয়েছে।”
চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বাদশা বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ও নৌবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”