
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার সাংবাদিক আনিস আলমগীর সোমবার আদালতে রিমান্ড শুনানিতে হাজির হন। আদালতে তিনি বলেন, "আমি ক্ষমতাকে প্রশ্ন করতে চাই, রাজনৈতিক বাধা আমাকে থামাতে পারবে না।"
শুক্রবার বিকেল ৫টা ৩৩ মিনিটে আদালতে উপস্থিত আনিস আলমগীর সরকারের নীতি ও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেন।
আদালতে তিনি জানান, "তালেবানরা আমাকে এরেস্ট করেছিল। তখনই মৃত্যুভয় দূর হয়ে গিয়েছিল। মাননীয় আদালত, আমি সাংবাদিক। আমি ক্ষমতাকে প্রশ্ন করি। গত দুই যুগ ধরে আমি এটা করে এসেছি।"
তিনি আরও বলেন, "আমি ক্ষমতাকে প্রশ্ন করতে চাই। আগে খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার সরকারকে প্রশ্ন করেছি। বর্তমানে ইউনূস সরকারকে করছি। ভবিষ্যতে যারা আসবে তাদেরও আমি প্রশ্ন করবো। আমি হালুয়া-রুটি খাওয়া সাংবাদিক হতে চাই না।"
আনিস আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, "ইউনূসের বাড়ি আক্রান্ত হবে, কেন বলেছি। ৩২-এর ভাঙার প্রতিহিংসা তো বহন করতে হবে। ১৩ নভেম্বর লকডাউনের নামে আওয়ামী লীগ যা করেছে, তা ভবিষ্যতে বড় ইভেন্টে কি প্রভাব ফেলবে তা ভাবায়।"
তিনি সতর্ক করে বলেন, "ড. ইউনূস যদি চান সারাদেশকে কারাগার বানাবেন, বানাতে পারেন। যদি চান সারাদেশকে দোজখ বানাবেন, বানাতে পারেন।"
আনিস আলমগীর আরও জানান, "প্যারিস ও নিউইয়র্কে বসে দুজন নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। তারা আমাকে ফেসবুকে পোস্ট করতে নিষেধ করেছে, টেলিভিশনে যেতে দেয়নি। বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তৈরি করেছে।"
তিনি জোর দিয়ে বলেন, "আমার জব কারও কাছে নতজানু হওয়া না। আমাকে যারা নির্দিষ্ট দলের গোলাম বানাতে চায়, এটি তাদের সমস্যা।"
শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম সাংবাদিক আনিস আলমগীরের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
গত রোববার সন্ধ্যায় আনিস আলমগীরকে রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। সোমবার বিকেলে ডিবি প্রধান শফিকুল ইসলাম জানান, আনিস আলমগীরকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।