ফুটবলে নব্বইয়ের দশকের উন্মাদনা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি: আসিফ মাহমুদ
- খেলাধুলা ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০১:০৬ এম, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
একসময় আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনায় থমথমে থাকত রাজধানী। নব্বইয়ের দশকে সেই ফুটবলই ছিল দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। কিন্তু সময়ের স্রোতে সেই উন্মাদনা হারিয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। সাম্প্রতিক সময়ে হামজা চৌধুরী ও শমিত শোমের মতো প্রবাসী ফুটবলারদের আগমনে আবারও যেন নতুন প্রাণ ফিরেছে বাংলাদেশ ফুটবলে।
ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সাম্প্রতিক তিনটি ম্যাচ—বাংলাদেশ বনাম ভুটান, সিঙ্গাপুর ও হংকং—প্রত্যেকটিতেই দর্শকের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। এমনকি গেট ভেঙে স্টেডিয়ামে প্রবেশের ঘটনাও ঘটেছে, যা প্রমাণ করে ফুটবলের প্রতি জনগণের আগ্রহ আবার জেগে উঠেছে।
বিকেলে আজ ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রীতি ম্যাচ শেষে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, “বাফুফে ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যৌথ প্রচেষ্টায় আমরা নব্বইয়ের দশকের ফুটবলের উন্মাদনা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। এখন গ্যালারিভর্তি দর্শক থাকেন, অনেকে বাইরেও দাঁড়িয়ে থাকেন। এই ভালোবাসাই আমাদের সাফল্য।”
এএফসি এশিয়ান বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে হংকংয়ের বিপক্ষে ৯ অক্টোবরের ম্যাচে হামজা চৌধুরীর ফ্রি কিক থেকে শুরুতেই গোল করে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। পরে শেখ মোরসালিন ও শমিত শোমের গোলেও সমতায় ফেরে দলটি, যদিও শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে ৪-৩ ব্যবধানে হেরে যায় স্বাগতিকরা।
আসিফ মাহমুদের মতে, ফুটবলে উন্নতির ধারা শুরু হলেও সাফল্য পেতে সময় লাগবে। তিনি বলেন, “খেলায় অনেক উন্নতি হয়েছে। আমরা আবার উইং থেকে ক্রস দেখা শুরু করেছি, যা অনেক বছর দেখা যায়নি। তবে স্থায়ী সাফল্য আসতে সময় লাগবে। পৃথিবীর যেসব দেশ ভালো ফুটবল খেলে, তারা অবকাঠামো ও প্রশিক্ষণে ১০-২০ বছর ধরে বিনিয়োগ করেছে।”
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ চার ম্যাচে দুটি ড্র ও দুটি হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে চার দলের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সমান ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে হংকং ও সিঙ্গাপুর। যদিও মূল পর্বে খেলার সুযোগ আর থাকছে না হাভিয়ের কাবরেরার দলের জন্য।