বিসিবি নির্বাচন নিয়ে যা বললেন সাকিব


বিসিবি নির্বাচন নিয়ে যা বললেন সাকিব

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিসিবির নির্বাচনী উত্তাপ ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বিষয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা সাকিব আল হাসান।

সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বিসিবির নির্বাচন এবং চলমান উত্তাপ নিয়ে তার মন্তব্য কী। উত্তরে তিনি বলেন, “আমি অত কিছু ফলো করিনি। আশা থাকবে, যারা আসবে, তারা বিসিবির ভালোর জন্য কাজ করবে। সবার প্রতি শুভকামনা।”

যখন তাকে তামিম ইকবালের বিসিবি নির্বাচন বর্জনের বিষয় এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নিয়ে জানতে চাওয়া হয়, সাকিব বলেন, “নির্বাচনের খবর খুব একটা দেখা বা পড়া হয় না। স্বাভাবিকভাবেই আমার জন্য বলা কঠিন আসলে কী হচ্ছে। এ বিষয়ে মন্তব্য না করাই ভালো। যেটা জানি না, সেখানে কিছু বলা ঠিক হবে না।”

সাম্প্রতিক সময়ে সাকিব আল হাসান ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভার্চুয়ালভাবে বিরোধের ঝড় তুলে। মূলত এই বিবাদ শুরু হয় সাকিবের এক ফেসবুক পোস্টের কারণে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে নিজের সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করে সাকিব লিখেছিলেন, “শুভ জন্মদিন, আপা।”

এরপরই আসিফ মাহমুদ প্রতিক্রিয়া দেন, “একজনকে পুনর্বাসন না করায় সহস্র গালি দিয়েছেন আপনারা আমাকে। বাট আই ওয়াজ রাইট। ইন্ড অব দ্য ডিসকাশন।”

সাকিব তার জবাবে লিখেছেন, “যাক শেষমেশ কেউ একজন স্বীকার করে নিলেন যে তাঁর জন্য আমার আর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেওয়া হলো না, বাংলাদেশের জন্য খেলতে পারলাম না!”

পরদিন বিকেলে আসিফ আবার ফেসবুকে লিখেন, “ভাইয়া, আমাকে জোর করে নমিনেশন দেওয়া হয়েছিল। আমি শুধু নির্বাচনটাই করেছিলাম, আওয়ামী লীগের দলীয় রাজনীতিতে জড়িত হইনি। ইউ নো হু। যার হাত ছাত্র-জনতার রক্তে রঞ্জিত, তাকে বাংলাদেশের পতাকা বহন করতে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বোর্ডের কর্তারা একাধিকবার রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করতে বললেও তা না করে বরং খুনিদের এনডোর্স করা ছাড়াও শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারি, মানি লন্ডারিং, ফিন্যান্সিয়াল ফ্রড করা কাউকে কেন শুধু ভালো ক্রিকেটার বলেই পুনর্বাসন করতে হবে? আইন সবার জন্য সমান, ফেস ইট।”

ভার্চুয়াল এই বিতর্ক এবং রাজনীতি নিয়ে সাকিব কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক কথা বলে কী হবে? ক্রিকেটেই থাকি।”

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের সময় সাকিব দেশের বাইরে ছিলেন। তিনি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি হলেও এরপর দেশে ফিরতে পারেননি। বর্তমানে সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, শেয়ার কেলেঙ্কারি ও দুদকের মামলাও চলমান।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×