বিসিবি সভাপতি ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন, তামিমের অভিযোগ
- খেলাধুলা ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:১৭ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গন। আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ নির্বাচনের প্রাক্কালে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তামিম অভিযোগ করেন, নির্বাচনের আগে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠনগুলো থেকে যেসব কাউন্সিলর মনোনীত হয়ে ফরম জমা দিয়েছিলেন, সেগুলো বর্তমান সভাপতি বুলবুল এক তরফাভাবে বাতিল করেছেন।
তামিমের ভাষায়, এসব সাবেক খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠকরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ফরম জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু বুলবুল স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে সেসব মনোনয়ন বাতিল করে তিনি অ্যাডহক কমিটি থেকে নতুন কাউন্সিলর মনোনয়নের নির্দেশ দেন। তামিম এই সিদ্ধান্তকে ক্ষমতার অপব্যবহার বলে দাবি করেন।
তবে শুধু বিসিবি সভাপতির বিরুদ্ধেই নয়, তামিমের অভিযোগের তীর ছুটেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রী পরিষদের সচিব এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) নির্বাহী পরিচালকের দিকেও। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে সরকার পক্ষের হস্তক্ষেপ করা হয়েছে, যা পুরো নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
এ বিষয়ে তামিম বলেন, ‘‘বুলবুল ভাই বলেছিলেন, নির্বাচন নিয়ে তার ধারণা একদম শূন্য। অথচ আপনারা তার চিঠি দেখেছেন। তিনি স্বাক্ষর করে আগের কাউন্সিলরদের বাদ দিতে বলেছেন। শুধু অ্যাডহক কমিটির থেকে কাউন্সিলর দিতে বলেছেন। আগের সব চিঠিতে প্রধান নির্বাহীর সাইন করা। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কমিটি গঠন হওয়ার পর তিনি কোথাও স্বাক্ষর করতে পারবেন না। এই চিঠিতে কোন ক্ষমতাবলে স্বাক্ষর করে তিনি ডিসিদের পাঠিয়েছেন?’’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে ‘সিলেকশন প্রক্রিয়া’য় পরিণত করা হয়েছে, যেখানে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা অনুপস্থিত। তামিমের মতে, বিসিবি ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ যেভাবে পুরো বিষয়টি পরিচালনা করছে, তাতে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।
তামিম নির্বাচনের আগে কাউন্সিলরদের হঠাৎ করে পরিবর্তনকে অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেন। তার দাবি, সব পক্ষকে নিয়ে একটি অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের আয়োজন করা হোক, যেখানে কোনো পক্ষপাত থাকবে না।
তিনি বলেন, ‘‘বিসিবিতে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। এখানে সরকারি হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই কাম্য নয়। নির্বাচনের আগে কাউন্সিলরশিপ পরিবর্তন মেনে নেওয়া হবে না। আমি শুধু স্বচ্ছ নির্বাচন চাই, জিতি বা হারি তা পরের ব্যাপার।’’