শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সুপার ফোরে বাংলাদেশের শুভসূচনা


শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সুপার ফোরে বাংলাদেশের শুভসূচনা

এশিয়া কাপের সুপার ফোরের নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে পরাজিত করে দারুণ সূচনা করেছে বাংলাদেশ দল। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টাইগাররা ১ বল বাকি থাকতে জয় নিশ্চিত করে।

ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলের ১ রানেই শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে দ্বিতীয় উইকেটে লিটন দাস এবং সাইফ হাসানের ৫০ রানের জুটিতে প্রাথমিক চাপ সামলে ওঠে দল। ব্যক্তিগত ২৩ রানে লিটন ফিরে গেলেও সাইফ তার অসাধারণ ব্যাটিং চালিয়ে যান। এই সময়ে তাকে সঙ্গ দেন তাওহীদ হৃদয়। ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক তুলে নেওয়া সাইফ ৪৫ বলে ৬১ রান করে আউট হন। এরপর জয়ের খুব কাছে গিয়েও ব্যক্তিগত ৫৮ রানে ফিরে যান হৃদয়। তবে শামীম পাটোয়ারী ১২ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ইনিংসের শেষ ওভারে পরপর দুটি উইকেট হারানোয় জয় নিয়ে কিছুটা সংশয় তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত ১ বল হাতে রেখে জয় পায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এবং দাসুন শানাকা প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৪ রান করেন অধিনায়ক দাসুন শানাকা। লঙ্কানদের শুরুটা ছিল বেশ আক্রমণাত্মক। উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মিডল ও লেগ স্টাম্পের ওপর থেকে টেনে খেলতে চেয়ে ডিপ মিডউইকেটে সাইফ হাসানের হাতে ধরা পড়েন পাথুম নিশাঙ্কা। ১৫ বলে ২২ রান করেন এই ওপেনার। নিশাঙ্কার বিদায়ের পর আরেক ওপেনার মেন্ডিস রানের চাকা সচল রাখেন। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে শ্রীলঙ্কা তোলে ৫৩ রান। তবে পাওয়ার প্লের পর বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রানের গতি কমে আসে। ইনিংসের অষ্টম ওভারে শেখ মেহেদির বলে সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে ডিপ ব্যাকওয়াড স্কয়ার লেগে আবারও সাইফের হাতে ধরা পড়েন মেন্ডিস।

পরে কামিল মিশরা ও কুসাল পেরেরা সুবিধা করতে পারেননি। তবে শেষদিকে দাসুন শানাকা ও চারিথ আসালঙ্কার ব্যাটে চড়ে একটি চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা। বিশেষ করে শানাকা রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন। তার ৩৭ বলে অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংসটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার আসালঙ্কা ১২ বলে করেন ২১ রান। বাংলাদেশের পক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান ২০ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন। এছাড়া শেখ মেহেদি ২টি ও তাসকিন আহমেদ ১টি উইকেট শিকার করেন।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×