ইসরায়েল খেললে ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলবে না স্পেন
- খেলাধুলা ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:০৬ এম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে স্পেন। ইউরোভিশন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এবার ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়েও কড়া অবস্থানের ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটির সমাজতান্ত্রিক সরকার। ইসরায়েলের অংশগ্রহণ থাকলে বিশ্বকাপে না খেলার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্প্যানিশ পার্লামেন্টে দলীয় মুখপাত্র পাত্রি লোপেস।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কংগ্রেসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পাত্রি লোপেস বলেন, “২০২৬ বিশ্বকাপে ইসরায়েল অংশ নিলে স্পেনও খেলা থেকে সরে দাঁড়ানোর পথ খোলা থাকবে।” তিনি আরও জানান, ইউরোভিশনের মতোই ফুটবলেও একই নীতি গ্রহণ করতে পারে স্পেন।
গাজার পরিস্থিতি নিয়ে লোপেস বলেন, “এ মুহূর্তে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় স্থল আক্রমণ চালাচ্ছে। প্রতিদিন আমরা টেলিভিশনে শিশুদের হত্যা হতে দেখি, মানুষকে খাদ্যের খোঁজে বের হলে গুলি করা হয়, গোটা শহর মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটি আত্মরক্ষা নয়, এটি সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই নয়; এটি গণহত্যা।”
তিনি জানান, স্পেনের সাধারণ মানুষ এই সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নামছেন। ‘লা ভুয়েল্তা’ সাইক্লিং প্রতিযোগিতার সময়ও এমন প্রতিবাদ দেখা গেছে। লোপেস বলেন, “আমাদের জনগণ মরতে থাকা মানুষদের প্রতি নীরব সমর্থন দিতে চায় না। তাই ইসরায়েলি দলকে নিয়ে রাস্তায় ঘুরলে প্রতিবাদ হবেই। এটিই হলো একটি মর্যাদাবান জাতির চিহ্ন।”
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেভাবে ক্রীড়াক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, ঠিক তেমনটাই কেন ইসরায়েলের ক্ষেত্রে হচ্ছে না; তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
“রাশিয়াকে বাদ দেওয়া সম্ভব হলে ইসরায়েলকে কেন নয়? পার্থক্যটা কোথায়?” - জানান লোপেস।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে স্পেনও নিজেদের অংশগ্রহণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠিতব্য ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে স্পেনের সরে দাঁড়ানো এক নজিরবিহীন ঘটনা হয়ে উঠতে পারে।
পাত্রি লোপেস অভিযোগ করেন, বহু ফিলিস্তিনি অ্যাথলেটকে হত্যা করা হলেও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মহলে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। “তাহলে বিষয়টা খেলাধুলা নিয়ে, নাকি কেবল অর্থ নিয়েই?” - প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।