বাঁচা-মরার ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এগিয়ে বাংলাদেশ


বাঁচা-মরার ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এগিয়ে বাংলাদেশ

বিদায় এড়াতে হলে জয়, হারলেই বিদায়—এমন সমীকরণের ম্যাচে প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান মানেই বাড়তি চাপ। তবে আবুধাবিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথমে ভালো রান তোলে বাংলাদেশ, পরে বল হাতে নাসুম-রিশাদের আগুনে সূচনায় দাপট দেখাচ্ছে টাইগাররা।

প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ১৫৪ রান। ইনিংসের সেরা ছিলেন তামিম, ঝড়ো ব্যাটিংয়ে করেন ৩১ বলে ৫২ রান। জবাবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আফগানিস্তান ১৪ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ৯৭ রানে থেমে আছে। জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন আরও ৫৮ রান, হাতে রয়েছে ৩৬ বল।

রান তাড়ার শুরুতেই আঘাত হানে বাংলাদেশ। বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ প্রথম বলেই সেদিকউল্লাহ অটলকে এলবিডব্লু করে ফেরান। পুরো ওভারটি দেন মেইডেন। দ্বিতীয় ওভারেই সুযোগ তৈরি করেন তাসকিন আহমেদ, তবে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে রিশাদ ক্যাচ মিস করেন। ‘জীবন’ পেলেও সেটি কাজে লাগাতে পারেননি ইব্রাহিম জাদরান। নাসুমের আরেকটি ডেলিভারিতে তিনিও এলবিডব্লু হন। পাওয়ারপ্লেতে আফগানদের রান দাঁড়ায় মাত্র ২৭। এরপরও রানের গতি একেবারে থেমে যায়নি, তবে উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে।

এর আগে লিটন দাস টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন, যা অনেককে অবাক করলেও সঠিক প্রমাণিত হয়। ওপেনিংয়ে সাইফ হাসান ও তানজিদ তামিম দলকে ভালো শুরু এনে দেন। বিশেষ করে তামিম শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। সাইফ যদিও ধীরগতিতে খেলেছেন—২৮ বলে করেছেন ৩০ রান—তবুও তামিমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রানের চাকা সচল থাকে।

তিনে নেমে লিটন দাস সুবিধা করতে পারেননি। নূর আহমেদের করা প্রথম বলেই এলবিডব্লু হন তিনি, করেন মাত্র ১১ বলে ৯ রান। এরপর ফিফটির দেখা পান তামিম। ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। নূরের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ইব্রাহিম জাদরানের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

মিডল অর্ডারে শামিম হোসেন ও তাওহিদ হৃদয় ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন। শামিম ১১ এবং হৃদয় ২৬ রানে ফেরেন সাজঘরে। শেষদিকে জাকের আলি ধীরগতিতে ১২ বলে ১২ রান করলেও নুরুল হাসান সোহানের অপরাজিত ৬ বলে ১২ রানের ক্যামিও দলকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেয়।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×