ভুটানে নারী লিগে ম্যাচসেরা কৃষ্ণা
- খেলাধুলা ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৯:০৪ পিএম, ১২ মে ২০২৫

সানজিদাদের থিম্পু সিটির মতো ভুটানের নারী লীগে শুভ সূচনা করেছে কৃষ্ণা, মাসুরা ও রুপ্নার ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডও। আজ নিজেদের লিগের প্রথম ম্যাচে ৮-০ গোলে অনূর্ধ্ব-১৭ গ্যালফু একাডেমিকে পরাজিত করে। আট গোলের মধ্যে তিন গোলই বাংলাদেশের দুই ফুটবলারের। জোড়া গোল করেছেন কৃষ্ণা রাণী সরকার ও এক গোল মাসুরা পারভীনের। গোল হজম না করার কৃত্তিত্বও বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপ্না চাকমার। ম্যাচ সেরা হয়েছেন কৃষ্ণা রাণী সরকার।
সাবিনা খাতুনের পর বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবলে দলে সিনিয়র ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়ের নাম ছিল কৃষ্ণা রাণী সরকার। ২০২২ সালে প্রথম সাফ জয়ে কৃষ্ণার অবদান ছিল অনেক। সেই কৃষ্ণা ২০২৩-২৪ সাল কাটিয়েছেন ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করে। ২০২৪ সালের সাফে শুধু পাকিস্তান ম্যাচে খেলেছিলেন ১২ মিনিট। সাত মাস পর আজ আবার প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ নেমেই ম্যাচ সেরা। তাই তার একটু বাড়তি উচ্ছ্বাস, 'এখন আমি সম্পূর্ণ ফিট। অনেক দিন পর পুরো ৯০ মিনিট খেললাম। দুটো গোল করেছি। আরো সুযোগ মিস করেছি। এজন্য খারাপ লাগছে।'
কৃষ্ণা ৯০ মিনিট খেললেও বাংলাদেশের ডিফেন্ডার মাসুরা পারভীন প্রথমার্ধের পর নেমেছিলেন। তিনি নেমেই এক গোল করেছেন। ভুটান নারী ফুটবলে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে। তাদের ঘরোয়া লিগের মান তুলনামূলক ভালোই বললেন কৃষ্ণা, 'নারী লিগের মান ভালোই। আমরা দশ জন বাংলাদেশি যেমন তিন ক্লাবে আছি তেমনি ভারত, নেপাল ও অন্য দেশের খেলোয়াড়রাও আছে। ক্লাবগুলোর অনুশীলনের মানও ভালো।'
বাংলাদেশের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা ও সুমাইয়া খেলছেন পারো এফসিতে। তাদের প্রথম খেলা ১৫ মে। থিম্পু এবং ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডে বাংলাদেশের ফুটবলাররা ভালো পারফরম্যান্সই করেছেন।
বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল ২৭ মে জর্ডানের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। এর আগে বৃটিশ কোচ পিটার বাটলার ২৩ জনের স্কোয়াড চূড়ান্ত করবেন। বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা ১০ ফুটবলার রয়েছেন ভুটানে। সেই দশ জনের মধ্যে কয়জন বাটলারের দলে ডাক পান সেটাই দেখার বিষয়।