দুর্দান্ত কামব্যাকে ইউরোপা লিগের সেমিতে ম্যানইউ


দুর্দান্ত কামব্যাকে ইউরোপা লিগের সেমিতে ম্যানইউ

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ভিলা পার্কে কামব্যাক করেছিল অ্যাস্টন ভিলা। কিন্তু পিএসজির বিপক্ষে ওই কামব্যাকে সেমিফাইনালে যেতে পারেনি। ইদুনা পার্কে বার্সার বিপক্ষে ব্যর্থ কামব্যাক করেছে ডর্টমুন্ডও। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ‘কামব্যাক, কামব্যাক’ করে মুখে ফেনা তুললেও ঘটেছে উল্টো ঘটনা। সান সিরোতে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে পারেনি বায়ার্ন মিউনিখও। 

তবে ইউরোপা লিগে লিঁও’র বিপক্ষে দুর্দান্ত এক কামব্যাক করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে শুরুতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়ে আবার তা ছেড়ে দেয় রুবেন আমোরিমের দল। যোগ করা সময়ে হারের দ্বারপ্রান্তে চলে যায়। সেখান থেকে শেষ বাঁশির আগে ৫-৪ গোলের দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে ম্যানইউ। দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ গোলের জয়ে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে উঠে গেছে। 

প্রথম লেগে ম্যানইউ ও লিঁও ২-২ গোলের সমতা করেছিল। ওল্ড ট্রাফোর্ডে দ্বিতীয় লেগে ম্যাচের ১০ মিনিটে লিড নেয় ম্যানইউ। গোল করেন ম্যানুয়েল উগার্টে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ডিফেন্ডার ডিয়াগো ডালট দলকে ২-০ গোলে এগিয়ে নেন। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ৭১ ও ৭৮ মিনিটে সমতায় ফেরে ফ্রান্স ক্লাব লিঁও। 

নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ ২-২ সমতায় থাকায় অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচ। সেখানে ১০৫ মিনিটে ছের্কি ও ১১০ মিনিটে লাকাজেত্তে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান ৪-২ করে ফেলেন এবং সেমির টিকিট একপ্রকার হাতে নিয়ে ফেলেন। কিন্তু পরেই ঘুরে দাঁড়ায় ম্যানইউ। ১১৪ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজ পেনাল্টি থেকে গোল করে যে যাত্রার শুরু করে। 

এরপর ১২০ মিনিটে গোল করেন তরুণ ম্যানইউ মিডফিল্ডার কোবি মাইনো। এক মিনিট পরেই আরেক ইংলিশ ফুটবলার হ্যারি মাগুইরে জালে বল পাঠিয়ে ম্যানইউ-এর কামব্যাক সম্পন্ন করেন। ইউরোপা লিগে তো বটেই যেটাকে ম্যানইউ-এর অন্যতম সেরা কামব্যাক বলা হচ্ছে।  

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×