শ্বশুর সাকলাইনের জন্য বাড়তি সুবিধা, ক্ষোভ ঝাড়লেন শাবাদ


April 2025/Shabad.jpg

দীর্ঘ দিন পর সবশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেই সুযোগ পান শাদাব খান। তাকে করা হয় এই সংস্করণের সহ-অধিনায়কও। যদিও এতে অনেকে দেখছেন শাদাবের শ্বশুর ও বর্তমানে পাকিস্তান দলের মেন্টর সাকলাইন মুশতাকের প্রভাব। এমন কথা শুনে অনেক বিরক্ত শাবাদ খান। এবার এই ব্যাপারে নিজের ক্ষোভ ঝাড়লেন পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার।

২০২৩ সালে সাকলাইন মুশতাকের মেয়েকে বিয়ে করেন শাবাদ খান। দীর্ঘ দিন দলের বাইরে থাকার পর হঠাৎ করেই গত মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলে জায়গা পেয়ে যান তিনি। শুধু তাই নয়, দলের সহ-অধিনায়কও করে ফেলা হয় শাবাদকে। তবে কিউইদের কাছে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি ৪-১ ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান।

শাদাবের দলে ফেরা ভালোভাবে নেননি অনেকেই। তাকে নিয়ে চলে সমালোচনা। অনেকেই বলাবলি শুরু করে, শ্বশুর সাকলাইনের কারণেই আবারও দলে জায়গা হয়েছে শাবাদের। শেষ পর্যন্ত মুখ খুলতে বাধ্য হলেন পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার।

সম্প্রতি রাওয়ালপিণ্ডিতে এসব নিয়ে কথা বলার সময় বিরক্তি প্রকাশ করে শাদাব বলেন, ‘এই ধরনের কথা শোনা হতাশাজনক, কারণ আমার ক্যারিয়ার প্রায় সাত বছরের। পাকিস্তানের হয়ে অভিষেকের পর থেকে আমি বেশ কিছু ভালো পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছি। হ্যাঁ, আমি সাকলাইন মুশতাকের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছি, কারণ তার শক্তিশালী ক্রিকেট কোচিং ব্যাকগ্রাউন্ড। কিন্তু তার মানে, এই নয় যে তিনি আমাকে (অন্য ক্ষেত্রে) সুবিধা দিচ্ছেন।’

নিজের বোলিংয়ে উন্নতি আনার ক্ষেত্রে শ্বশুর সাকলাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন বলেন জানান তিনি। 

শাদাব বলেন, ‘আমার বোলিংয়ে উন্নতির জন্য সাকলাইন মুশতাক আমার সঙ্গে কাজ করছে। আমি আশাবাদী তার নির্দেশনায় ভালো ফলাফল আসবে এবং আমার পারফরম্যান্সেও ধারাবাহিকতা থাকবে।’

পাকিস্তানের সাবেক স্পিনার সাকলায়েন মুশতাককে গত বছর পাঁচজন মেন্টরের একজন হিসেবে নিয়োগ দেয় পিসিবি। একপর্যায়ে পাকিস্তান জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্বও সামলেছেন সাকলায়েন। জড়িত আছেন দেশটির জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির সঙ্গেও। 

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×