শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসন ও বর্তমানের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই: রুমিন ফারহানা
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৬:১৩ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, “আপনি যদি খুব নিরপেক্ষভাবে দেখেন, আপনি দেখবেন শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসন এবং চলমান এক বছর দুই মাসের শাসনের মধ্যে তেমন বেশি পার্থক্য নেই।”
সম্প্রতি ডয়চে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, “আমরা চৌদ্দ-পনের বছর আগে দেখেছি, শেখ হাসিনার সময় এক সাধারণ পিওনও ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। বর্তমানে এই সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের এপিএসের দুর্নীতি নিয়ে যখন অভিযোগ আসে এবং গণমাধ্যমে তথ্য প্রকাশিত হয়, তখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শেখ হাসিনার আমলেও সেই পিয়নকে গণভবন থেকে বের করার ছাড়া অন্য কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বর্তমান সরকারেও এ ধরনের অভিযোগে কোনো আইনি পদক্ষেপের উদাহরণ আমরা দেখি না।”
তিনি আরও বলেন, “উপদেষ্টা হিসেবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করা আবশ্যক ছিল। ড. মুহাম্মদ ইউনূস শুরুতেই বলেছিলেন। কিন্তু আমার জানা মতে এখনো অধিকাংশ উপদেষ্টার তথ্য প্রকাশ হয়নি। একজন বা দুইজন হয়তো দিয়েছেন, কিন্তু পুরো ক্যাবিনেটকে রিপ্রেজেন্ট করে না।”
উপদেষ্টাদের অনিয়ম নিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, “আমরা কোনো উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখিনি। উদাহরণ হিসেবে আমাদের ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া; তাঁর বিরুদ্ধে একটির পর একটি অভিযোগ এসেছে। বিএনপির সঙ্গে মনোমালিন্য থাকতেও অভিযোগগুলোকে তদন্ত করা প্রয়োজন ছিল। ন্যূনতম কোনো তদন্তও হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “অন্যান্য উপদেষ্টাদের পিএস-এপিএস সংক্রান্ত অভিযোগও ব্যাপক। মূল দুর্নীতিটা সম্ভব হয়েছে উপদেষ্টাদের অনুমতি ছাড়া সম্ভব নয়। স্বাক্ষর নেওয়া ও অনুমোদন দেওয়ার দায়িত্ব তাদের।”
অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম নিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, “যারা মৃদুভাবে সমালোচনা করেন, তারা বলেন প্রধান উপদেষ্টা নরম হাতে দেশ চালাচ্ছেন। যারা প্রকৃত সমালোচনা করেন, তারা মনে করেন তিনি নির্লিপ্ত। দেশের পরিস্থিতি নিয়ে তার কোনো তাগিদ নেই। দেশ চালানো কোনো খেলার বিষয় নয়; এ ঘটনায় ১৬ কোটি মানুষের ভাগ্য জড়িত। তবে প্রধান উপদেষ্টা দেশের বাইরে থাকাকেই স্বস্তিদায়ক মনে করেন। বিদেশি গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়া দেশীয় গণমাধ্যমের চেয়ে অনেক বেশি স্বস্তিদায়ক মনে করেন। এটা বলতে দুঃখ লাগে।”