নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্রকামীদের উপর ফ্যাসিবাদী সরকারের দমনপীড়ন জাতি কখনো ভুলতে পারবে না। তিনি জানান, ৬০ লাখেরও বেশি কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা, ২০ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী খুন ও গুমের শিকার হয়েছেন। এছাড়া জামায়াতে ইসলামের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, দৈনিক নয়া দিগন্তের মালিক মীর কাসেম আলী, সালাউদ্দিন কাদেরসহ বহু আলেম-ওলামাকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ফখরুল বলেন, এসব ঘটনা দেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায়।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মহাসচিব আরও বলেন, “নয়া দিগন্ত আমাদের কাছে সংগ্রামের প্রতীক। ফ্যাসিবাদী শাসনামলে এই পত্রিকার সাংবাদিক, সম্পাদক, প্রকাশক ও কর্মীরা অকথ্য নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। তবুও তারা ধৈর্য, সতর্কতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চালিয়ে গেছেন।”

তিনি জানান, স্বৈরাচারী শাসনামলে এই পত্রিকার সাংবাদিকদের ওপর ছিল ভয়াবহ দমনপীড়নের ছায়া, তবুও তারা গণমানুষের চেতনা ও সত্যের সংবাদ প্রচারে অটল ছিলেন। ফখরুল তাদের সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ফখরুল আরও বলেন, “দেশবাসী চায় একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, যা কোনো বিদেশি শক্তির নিয়ন্ত্রণে নয়, জনগণের ইচ্ছায় পরিচালিত হবে। নয়া দিগন্ত সেই লক্ষ্য পূরণে গণমানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে ভূমিকা পালন করছে।”

তিনি ১৯৭৫ সালের বাকশাল শাসনের সময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের দুঃসময়কেও স্মরণ করেন। “সেসময় সাংবাদিকরা বেকার হয়েছিলেন, অনেকে রাস্তায় হকারি করেছেন। পরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনেন এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন,” ফখরুল বলেন।

আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গে মহাসচিব বলেন, “২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়েছে। সংস্কার সনদে স্বাক্ষরিত দলগুলোর ঐক্যের মাধ্যমে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।”

বক্তব্যের শেষে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নয়া দিগন্ত পরিবারকে শুভেচ্ছা জানান।