এই সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে না: আরআরআইকে জিএম কাদের


এই সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে না: আরআরআইকে জিএম কাদের

বাংলাদেশ সফররত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন কোনোভাবেই নিরপেক্ষ হবে না। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে অনুষ্ঠিত সৌজন্য বৈঠকে এই মন্তব্য করেন তিনি।

কাদের দেশটির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, “সকল মহল থেকে যেহেতু বর্তমান সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সুতরাং এই সরকারের অধীনে কোনও নিরপেক্ষ ইলেকশন করা সম্ভব হবে না। বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। ফলশ্রুতিতে দেশে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে।”

বৈঠকে নেতৃত্ব দেন গোলাম মোহাম্মদ কাদের। জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দলে ছিলেন মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন ও উপদেষ্টা মেজর (অব.) মো. মাহফুজুর রহমান।

আইআরআই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বোর্ড সদস্য ক্রিস্টোফার ফাসনার এবং সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির ইন্দো-প্যাসিফিক সিকিউরিটি প্রোগ্রামের সিনিয়র ফেলো লিসা কার্টিস। দলের অন্যান্য সদস্য ছিলেন রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বিষয়ক কারিগরি বিশেষজ্ঞ জেসিকা কিগান, আবাসিক প্রোগ্রাম ডিরেক্টর স্টিভ সিমা, এনডিআইয়ের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর জেমি স্পাইকারম্যান, প্রচারণা ও পরামর্শদাতা জন ফ্লুহার্টি, পরামর্শক ডারিন বিয়েলেকি, অমিতাভ ঘোষ ও সাইদা মুশরেফা জাহান।

বৈঠকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ এবং সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। জিএম কাদের বলেন, “যদি দেশে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না হতে পারে, তাহলে রাজনৈতিক স্থিতিশীল সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। তখন দেশে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হবে এবং গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।”

জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মাধ্যমে একটি বৈষম্যমূলক সমাজ গঠনের যে জনআকাঙ্খা তৈরি হয়েছিল, তা আজ ধুলোয় মিশে গেছে। বাংলাদেশের নিবন্ধিত ৫৫টি দলের মধ্যে মাত্র ২৫টি দলকে ঐক্যমত্য কমিশন ডেকেছে। বাকী অর্ধেকেরও বেশি নিবন্ধিত দলগুলো (যাদের বিরুদ্ধে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই) বাদ রেখে সরকার নিজেদেরকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “দেশের এই অবস্থায় যেহেতু আমাদের সংবিধানে কোনো গণভোটের ব্যবস্থা নেই, তাই এই মুহূর্তে গণভোট করা হবে অসাংবিধানিক। যদি জাতির প্রয়োজনে গণভোটের প্রয়োজন হয়, তা অবশ্যই সংসদে পাশ করেই করা যেতে পারে।”

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×