শাপলা নিয়েই নির্বাচন করব, নয়তো নিবন্ধনেরও দরকার নেই: হাসনাত
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১১:৩৯ এম, ১১ অক্টোবর ২০২৫

নির্বাচন সামনে রেখে প্রতীক নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, শাপলা প্রতীক না পেলে এনসপি নির্বাচনেই অংশ নেবে না, এমনকি নিবন্ধনের প্রয়োজনও দেখছে না।
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর সন্ধ্যায় কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়ায় এনসপি আয়োজিত এক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, "শাপলা মার্কা নিয়েই আমরা নির্বাচন করব, এনসিপির নয়তো নিবন্ধনেরও দরকার নেই।"
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে এবং বর্তমানে তারা নিরপেক্ষতার পথ থেকে সরে গেছে। হাসনাত বলেন, "যদি আমাদেরকে শাপলা প্রতীক না দেওয়া হয়, তাহলে ধানের শীষও বাদ দিতে হবে। শাপলা কেউ ঠেকাতে পারবে না। নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না। তাদের রিমোট কন্ট্রোল এখন অন্য জায়গায়। নির্বাচন কমিশন আগারগাঁও থেকে পরিচালিত হওয়ার কথা, কিন্তু সেটি এখন অন্য কোথাও থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।"
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। "আমরা এখন এই কমিশনকে স্বৈরাচার কমিশন হিসেবে দেখতে পাচ্ছি। আওয়াল কমিশনের চেয়েও নিচু স্তরের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বর্তমান কমিশন। দায়িত্ব অবহেলার পরিণতি কী হতে পারে, তা আগের অভিজ্ঞতা থেকেই জানা উচিত। নির্বাচন কমিশনকে বলব; আইন মেনে সিদ্ধান্ত নিন, কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানই স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিতে পারে না," বলেন হাসনাত।
তিনি আরও জানান, এনসিপিকে প্রতীক না দিতে রাজনৈতিকভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে এবং বিভিন্ন দল তাদের হুমকি দিচ্ছে যাতে শাপলা প্রতীকের দাবি থেকে দলটি সরে আসে। তবে এই দাবি থেকে পিছু হটার কোনো ইঙ্গিত দেননি তিনি। "বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আমাদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে, যেন আমরা শাপলা চাওয়ার দাবি থেকে সরে যাই। কিন্তু শাপলা যেহেতু জাতীয় প্রতীক, সেটি যদি এনসিপিকে না দেওয়া হয়, তাহলে ধানের শীষও বাতিল করতে হবে; কারণ সেটিও জাতীয় প্রতীকের অন্তর্ভুক্ত। আমরা দেখছি, নির্বাচন কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবে পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যদি শাপলা না দেয়, তাহলে আমাদের নিবন্ধনও প্রয়োজন নেই," বলেন তিনি।
এনসিপির এই উঠান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দেবিদ্বার উপজেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা এনসপির সদস্য রবিউল মনির চৌধুরী, মজিবুর রহমান, মাহমুদুল হাসান ও সাইফুল ইসলাম।