যারা নির্বাচন ভয় পায়, তাদের রাজনীতির দরকার নেই: আমীর খসরু
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৫:৫৮ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২৫

নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে রাজনীতি করার মানসিকতার কড়া সমালোচনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তাঁর ভাষায়, যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে চায়, তাদের রাজনীতিতে থাকারই প্রয়োজন নেই।
রোববার (২৭ জুলাই) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যৌথ আয়োজনে ‘জুলাই বিপ্লবের এক বছর’ উপলক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তব্যে আমীর খসরু বলেন, “যারা নির্বাচনকে ভয় পায়, তাদের রাজনীতির দরকার নেই। তারা প্রেসার গ্রুপ হিসেবে কাজ করুক। এনজিও হিসেবে কাজ করতে পারে। আপনি রাজনীতিও করবেন, আবার নির্বাচনেও যাবেন না, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবেন, এটা তো হতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, যেসব দেশে বিপ্লব হয়েছে এবং সেখানে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করা হয়েছে, সেই দেশগুলো গভীর বিভাজনে পড়েছে। কোথাও গৃহযুদ্ধ, কোথাও রাষ্ট্রব্যর্থতা দেখা দিয়েছে। তবে যারা দ্রুত নির্বাচন করে গণতন্ত্রে ফিরে যেতে পেরেছে, তারা অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক দিক থেকে এগিয়ে গেছে।
গণতন্ত্রে মতপার্থক্য স্বাভাবিক উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, “আমরা বিভিন্ন দল; সবকিছুতে ঐকমত্য হবে না। জাতীয় বিষয়ে এক থাকতে হবে। কিন্তু রাজনৈতিক আদর্শ, চিন্তা, দর্শন আলাদা। এই বিভেদ না থাকলে তো গণতন্ত্র হবে না। একদলীয় শাসন, বাকশাল করতে বসিনি।”
তিনি আরও বলেন, “ভিন্নমত থাকতে পারে, কিন্তু একে অপরের প্রতি সহনশীল হতে হবে। সাংঘর্ষিক রাজনীতিতে যাওয়া যাবে না। দ্বিমত থাকবে, কিন্তু শ্রদ্ধা থাকতে হবে।”
বক্তব্যের শেষ দিকে আমীর খসরু বলেন, “স্বৈরশাসক হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের মানুষের মনস্তত্ত্বে পরিবর্তন এসেছে। যেসব দল ও ব্যক্তি এই পরিবর্তনকে বুঝতে পারছে না, তাদের কোনো রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই। পরিবর্তন মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আনতে হবে।”