শেখ হাসিনার রায় ঘোষণার তারিখ জানা যাবে দুপুরে
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১২:৩১ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা কবে হবে, তা আজ চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল, যার নেতৃত্বে আছেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার, আজ এই মামলার শুনানির কর্মসূচি সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।
প্রসিকিউশনের যুক্তি উপস্থাপনের পর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সমাপনী বক্তব্য দেবেন। ইতোমধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল ও প্রসিকিউটররা ট্রাইব্যুনালে হাজির রয়েছেন।
গতকাল বিকেলে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, মামলায় পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এবং উপস্থিত রাজসাক্ষী হিসেবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা কিছু অংশ উপস্থাপন করে জবাব দিয়েছি, বাকি অংশেরও জবাব দেবো।”
সমাপনী বক্তব্য শেষে রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিন বিকেল সাড়ে তিনটার পর আসামিপক্ষে স্টেট ডিফেন্সের আইনজীবী মো. আমির হোসেন যুক্তিতর্ক শেষ করেন। তিন দিনের যুক্তি উপস্থাপনের পর তিনি তার মক্কেলদের পক্ষে নির্দোষ দাবি করে খালাসের আবেদন করেছেন।
প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদ, মঈনুল করিম, সুলতান মাহমুদসহ অন্যান্যরা।
মামলাটির তদন্ত ও শুনানি ২৮ কার্যদিবস ধরে চলে, যার মধ্যে ৫৪ জন সাক্ষীর বয়ান এবং জেরার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এ মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে। যদিও তিনি নিজের দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন।
মামলায় মানবতাবিরোধী পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে, যার আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র আট হাজার সাত শত সাতাশি পৃষ্ঠার মধ্যে রয়েছে। তথ্যসূত্র দুই হাজার পনের পৃষ্ঠার, জব্দকৃত আলামত ও দলিল চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার, শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার সাত শত চব্বিশ পৃষ্ঠার। মোট ৮১ জন সাক্ষীর বয়ান নেয়া হয়েছে। ১২ মে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের কাছে জমা দেওয়া হয়।