সাইফুজ্জামানের সহযোগী আজিজ, উৎপল ও জাহাঙ্গীরের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০২:৩২ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মুদ্রাপাচারের অভিযোগে জড়িত তার সহযোগী মো. আবদুল আজিজ, উৎপল পাল ও জাহাঙ্গীর আলমকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে আদালত।
২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত থেকে এ রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
দুদিন আগে, ১৮ সেপ্টেম্বর, অর্থপাচারের প্রসঙ্গে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর এজেন্ট হিসেবে পরিচিত আরামিট গ্রুপের এজিএম উৎপল পাল এবং দেশের সম্পদ দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা মো. আবদুল আজিজকে দুদক গ্রেপ্তার করে। একইদিন সাবেক ভূমিমন্ত্রীর স্ত্রী ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমীলা জামানের ড্রাইভার মো. ইলিয়াস তালুকদারের বাড়ি থেকে ২৩ বস্তা দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের রেকর্ড উদ্ধার করে দুদকের টাস্কফোর্স।
আলামত পর্যালোচনায় উঠে এসেছে যে, এর আগেও যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, দুবাই ও সিঙ্গাপুরসহ চার দেশে ৫৮২টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও ক্যাম্বোডিয়াতে সম্পদ অর্জনের প্রমাণও পাওয়া গেছে। দেশের ভিতরে ও বাইরে ক্রয় করা বাড়ির মালিকানা, ভাড়া থেকে প্রাপ্ত আয়, মেইনটেনেন্স খরচসহ বিভিন্ন নথি এবং সাইফুজ্জামানের মাধ্যমে বিদেশে মুদ্রাপাচার ও মানিলন্ডারিংয়ের তথ্যও ওই দলিলগুলোর মধ্যে রয়েছে।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে দুদক সাবেক ভূমিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছে সংস্থাটি। ২৮ সেপ্টেম্বর সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমীলা জামানসহ আটজনের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৪২ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মামলা করেন দুদক। মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক পরিচালক সৈয়দ কামরুজ্জামান, রুকমীলার মালিকানাধীন কোম্পানি আরামিটের এজিএম ও ইম্পিরিয়াল ট্রেডিংয়ের মালিক মো. আব্দুল আজিজ, আরামিটের এজিএম ও ক্লাসিক ট্রেডিংয়ের মালিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আরামিটের কর্মচারী ও মডেল ট্রেডিংয়ের মালিক মোহাম্মদ মিছবাহুল আলম, ক্রিসেন্ট ট্রেডার্সের মালিক সৈয়দ নুরুল ইসলাম এবং রেডিয়াস ট্রেডিংয়ের মালিক মো. ফরিদ উদ্দিন।
দুদকের তদন্তে জানা গেছে, প্রায় ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তার স্ত্রী রুকমীলা জামান ও প্রায় ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত চলছে।