৭ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধে সামিট পাওয়ারের আর্থিক ক্ষতি ১৫২ কোটি টাকা


৭ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধে সামিট পাওয়ারের আর্থিক ক্ষতি ১৫২ কোটি টাকা

দেশের অন্যতম বড় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার লিমিটেড চলতি অর্থবছরে বড় ধাক্কা খেয়েছে। কোম্পানিটির সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র সারা বছর বন্ধ থাকায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক ক্ষতি বা ইমপেয়ারমেন্ট লস দাঁড়িয়েছে ১৫০ কোটি টাকার বেশি।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সামিট পাওয়ার।

কোম্পানির হিসাবে দেখা গেছে, তাদের মোট ১৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে বর্তমানে ৭টি পুরোপুরি বন্ধ। বাকি ৮টির মধ্যে ৪টি চলছে “নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট” চুক্তির আওতায়। এর মধ্যে ৩টি কেন্দ্র থেকে গত অর্থবছরে সরকার বিদ্যুৎ না কেনায় সেগুলোও অচল ছিল। ফলে কোম্পানির বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৯৩০.৫৫ মেগাওয়াট থেকে নেমে এসেছে মাত্র ২৩৪ মেগাওয়াটে।

এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র বন্ধ থাকা ৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেই সামিট পাওয়ারের ১৫২ কোটি টাকার ইমপেয়ারমেন্ট লস হয়েছে।

কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় কোম্পানির মুনাফায় বড় পতন ঘটে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, যেখানে আগের বছর ছিল ৩৩৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে নিট মুনাফা কমেছে ২৯৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা, যা প্রায় ৮৮ শতাংশ পতন।

তবে মুনাফায় বড় ধস নামলেও সামিট পাওয়ার বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশে কিছুটা স্বস্তি রেখেছে। কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরের জন্য সাড়ে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে, যা গত বছরের ১০ শতাংশ থেকে সামান্য বেশি।

ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডা অনুমোদনের জন্য আগামী ২৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এই এজিএমের রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ নভেম্বর।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×