বিচার বিভাগের সংস্কার প্রায় ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে: প্রধান বিচারপতি
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:২৩ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২৫

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ জানিয়েছেন, বিচার বিভাগের সংস্কার লক্ষ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (৩১ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: বিচার বিভাগের সংস্কার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, “সংস্কার শুধু আইন বা অধ্যাদেশে সীমাবদ্ধ কোনও বিষয় নয়। এটি একটি জীবন্ত প্রক্রিয়া, যা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। সে কারণেই আমি আমার সংস্কার রোডম্যাপ নিয়ে দেশের পথে নেমেছি। আজ আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি, এই সংস্কারের লক্ষ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, আর বাকি পদক্ষেপ আমাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, ”২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণজাগরণ আমাদের সামনে একটি আয়না ধরেছিল এবং তার প্রতিক্রিয়ায় সেপ্টেম্বরের রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হয়েছিল। এরপর সরকারের কাছে প্রেরিত সংস্কার প্রস্তাব, জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল গঠন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনঃপ্রতিষ্ঠা, দুটি নতুন নীতিমালা প্রণয়ন, দেশজুড়ে সংস্কার রোডশো এবং বাণিজ্যিক আদালতের প্রস্তুতি ইত্যাদি উদাহরণ প্রমাণ করে যে, আমরা কথায় নয়, কাজে সংস্কার বেছে নিয়েছি।”
প্রধান বিচারপতি জানান, ২০২৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর তিনি বিচার বিভাগের সংস্কার রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। সেই ঘোষণা ছিল আত্মসমালোচনার একটি অঙ্গীকার, যাতে বিচারব্যবস্থা নিজের ভেতর থেকেই পরিবর্তন আনতে পারে। তিনি বলেন, “এরপর থেকে আমি দৃঢ়ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি, আমাদের স্বায়ত্তশাসনকে শক্তিশালী করতে, সেবাকে গতিশীল করতে।” তিনি জানান, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ এখনো অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বার অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “এসব কিছুই সম্ভব হতো না, যদি বার আমাদের পাশে না থাকতো। জেলাগুলোতে বার অ্যাসোসিয়েশন আমাদের সঙ্গে একত্রে হেঁটেছে, তারা প্রমাণ করেছে, সংস্কার শুধু বিচারকদের কাজ নয়। আর ঢাকায়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ছিল আমাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মো. মাহফুজুর রহমান মিলন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, এবং বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।