জামায়াতকে আর আমরা মাথায় উঠতে দেব না: মির্জা ফখরুল


জামায়াতকে আর আমরা মাথায় উঠতে দেব না: মির্জা ফখরুল

জামায়াতকে আর মাথায় উঠতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেছেন, দেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চায় সবাই। পিআর নিয়ে কোনো চাপ সৃষ্টির কৌশল খাটিয়ে বিএনপিকে দমানো যাবে না।

সম্প্রতি ঢাকার গুলশানে ভারতের কলকাতার একটি পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

সাক্ষাৎকারটি গতকাল সোমবার প্রকাশিত হয়।

আসন্ন নির্বাচনে জামায়াত ৩০টি আসন চেয়েছে উল্লেখ করে সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল বলেন, জামায়াত ৩০টা চেয়েছে। আমরা উৎসাহ দেখাইনি। অনেক কম একটা সংখ্যার কথা বলেছি, যা তাদের মনঃপূত হয়নি।

আপনাকে আশ্বাস দিচ্ছি, জামায়াতকে আর আমরা মাথায় উঠতে দেবো না। তারা যত বড় না শক্তি, আমরা অকারণে তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। 

পিআর নিয়ে বিএনপিকে কোনো চাপে ফেলা যাবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পিআর-টিআর সবই বিএনপির উপরে চাপ সৃষ্টির কৌশল। জামায়াত কিন্তু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে। আসলে দেশের প্রবল ভাবেই মানুষ নির্বাচন চাইছেন। সেনাবাহিনী চাইছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও চাইছেন।

জামায়াত ভোটে আসবে জানিয়ে বিএনপি এ নেতা বলেন, জামায়াত ভোটে আসবে। পিআর–টিআর নয়, মানুষ যে পদ্ধতিতে ভোট বোঝেন, সেই প্রচলিত পদ্ধতিতেই হবে বাংলাদেশের ভোট।
জামায়াতও দেখবেন অংশ নেবে। আর এনসিপি-কে আমরা কোনো শক্তি বলেই আর মনে করি না। এটা ঠিক এই ছাত্ররাই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের বারুদে আগুনটা দিয়েছিল। এখন আর তাদের কিছু নেই। ডাকলে লোকও আসে না।

আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি কি আগামী ভোটে অংশ নিতে পারবে, এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বলেছি আওয়ামী লীগ ও তাদের শরিকেরা সবাই, এমনকি জাতীয় পার্টিও নির্বাচনে অংশ নিক। একটা সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট হোক। এ জন্য অনেকে আমাকে ভারতের এজেন্ট, আওয়ামীর দালাল বলে গালাগাল দিচ্ছে। কিন্তু শেখ হাসিনার অপকর্ম আমরাও কেন করব? হাসিনা ১৫ বছর প্রতিপক্ষকে ভোটে দাঁড়াতেই দেননি, তার শাস্তি পেয়েছেন। একই কাজ করলে আমরাও তো প্রতিফল পাব। তবে মানুষ এত রক্ত দেখেছেন, এত প্রাণহানি- তাদের মধ্যে আওয়ামী-বিরোধিতা রয়েছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×