আ.লীগের পুনর্বাসন বিএনপির জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে: নাহিদ ইসলাম

আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা হলে বিএনপির অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি সতর্ক করে বলেন, তরুণদের পালস বুঝতে না পারলে জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করবে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকার বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নাহিদ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি রাজনীতিবিদদের ওপর হামলা, অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা এবং আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি তোলেন।

নাহিদ অভিযোগ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি প্রটোকল কর্মকর্তাদের মিসগাইডের কারণেই আখতারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। কারণ, তাদের ভুল তথ্যের কারণেই এক ফটক দিয়ে বের না হয়ে ভিন্ন পথে বের হয়েছেন এনসিপির নেতারা। এ জন্য কনস্যুলার জেনারেলকে পদত্যাগ করতে হবে।

তিনি আরও জানান, আখতার হোসেনসহ এনসিপির নেতাদের ওপর হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গোপালগঞ্জে কর্মসূচি, লন্ডনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার ধারাবাহিকতাতেই যুক্তরাষ্ট্রে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি হামলার আগেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে তথ্য দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে, বলেন নাহিদ।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে বিএনপিসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী সব দলের ভূমিকা ছিল। তবে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা পুনর্বাসিত হলে দেশের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তাই এ প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তিনি দাবি করেন, লন্ডনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত পাঁচ আসামির নাম প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগপ্রাপ্তদের সরিয়ে দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

এনসিপির নির্বাচনী প্রতীক ও গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে একীভূত হওয়ার প্রসঙ্গেও নাহিদ মত দেন। তিনি বলেন, শাপলা প্রতীক নিয়ে আমাদের কোনও আইনগত বাধা নেই। নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো। আর গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে আলোচনাও চলছে, সিদ্ধান্ত হলে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবিন, যুগ্ম সদস্য সচিব সাইফ মোস্তাফিজসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের কেনেডি বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় এনসিপি নেতা আখতার হোসেন ও তাসনিম জারা হামলার শিকার হন। এসময় আখতারের ওপর ডিম ছোড়া হয়।