মাদক বিক্রি করতে গিয়ে ধরা ডিএমপির দুই সদস্য
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৯:৪৭ এম, ১৯ মার্চ ২০২৫

মাদককারবারি ধরতে জাল পেতেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। সেই জালে পা দিয়ে সাত কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার হয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দুই সদস্য।
তারা হলেন মতিঝিল বিভাগের অবৈধ অস্ত্র ও মাদক টিমের কনস্টেবল কামাল উদ্দিন ও শাহীন আলম।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, ঘটনাটি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সময় ১০ মার্চ রাত সাড়ে ৮টা। রাজধানীর মগবাজার চৌরাস্তায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় অপেক্ষায় চার যাত্রী। দুই মিনিট পর অটোরিকশাটির কাছে থামেন মোটরসাইকেল আরোহী দুইজন। দ্রুততার সঙ্গে যাত্রীদের গাঁজাভর্তি একটি কালো ট্রাভেল ব্যাগ দেন তারা। টাকা চাইতেই তাদের ঘিরে ফেলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সদস্যরা। তিন প্যাকেটে মেলে সাত কেজি মাদক।
সেই অটোরিকশা চালক জানান, অভিযানের কথা বলে তাকে ভাড়া নেয়া হয়।
গ্রেফতার তিনজনের মধ্যে কামাল উদ্দিন ও শাহীন আলম ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কনস্টেবল। আছেন মতিঝিল বিভাগের অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার টিমে। বাকি একজন তাদের সোর্স। এ টিম গত ৭ মার্চ রাজধানীর শাজাহানপুর থেকে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছিল।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (ঢাকা মেট্রো উত্তর) উপ-পরিচালক শামীম আহম্মেদ জানান, বিক্রির মাদকগুলো সেই অভিযানে জব্দ করা কি না খতিয়ে দেখছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফরতর।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, মাদকসহ বাহিনীর দুই সদস্য গ্রেফতারে বিষয়টি নজরে এসেছ। তদন্ত করে নেয়া হবে ব্যবস্থা। অপরাধীদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না। সে যেই হোক না কেন।
সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর পুলিশের এমন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই কাম্য নয়। সময় অনুযায়ী তারা ভালো সাজার চেষ্টা করছেন। তারা কোনোভাবেই পরিবর্তনের যে ব্যাপারগুলোর তা শুধু আলোচনার মধ্যেই থাকছে, কিন্তু সেই আলোচনাগুলোকে তারা ধারন করছেন না। ধারন না করার কারণে তাদের মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।
গ্রেফতার দুইজনের সাথে ডিবির অন্য কোনো সদস্য জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখার আহ্বান এ বিশ্লেষকদের।