গাজায় ১৯ হাজার ৯৩২ জন শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৭:৪৬ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
ফিলিস্তিনের গাজা অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর দুই বছরের আগ্রাসন ও সংঘর্ষে মোট ১৯,৯৩২ জন শিক্ষার্থী নিহত এবং ৩০,১০২ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ফিলিস্তিনের শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
অধিকৃত পশ্চিম তীরেও ইসরায়েলি হামলায় ১৪৮ জন শিক্ষার্থী মারা গেছেন এবং ১,০৪৫ জন আহত হয়েছেন। একই সময় ৮৪৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
গাজা ও পশ্চিম তীরে শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মীদের ওপরও ব্যাপক সহিংসতা চালানো হয়েছে। এতে ১,০৩৭ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন এবং ৪,৭৫৭ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া অন্তত ২২৮ জন শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সংঘর্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বড় ধ্বংসযজ্ঞের মুখে পড়েছে। গাজায় সরকারি স্কুলের ১৭৯টি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩টি ভবন ধ্বংস হয়েছে। বোমা হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞের কারণে ১৮টি সরকারি স্কুল এবং ১০০টিরও বেশি জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পশ্চিম তীরের হেবরনের দক্ষিণে ইয়াত্তা শহরের আমিরা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং তুবাসের আকাবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ও ধ্বংস করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, অন্তত আটটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ বারবার আগ্রাসনের শিকার হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৬৭,০০০ ছাড়িয়েছে এবং ১,৭০,০০০ এর বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন। চলতি বছরের ২৭ মে থেকে ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা বিতরণ কার্যক্রমও স্থগিত করেছে, যার ফলে সেখানে দুর্ভিক্ষ প্রকট হয়েছে।
এছাড়া, খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালিয়েছে, যার ফলে শত শত মানুষ নিহত এবং শিশুসহ বহু মানুষ দুর্ভিক্ষের কারণে মারা গেছে।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। গাজা অঞ্চলজুড়ে সংঘটিত এই যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আদালতের সামনে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।