আরও ৩০ ফিলিস্তিনির লাশ হস্তান্তর করলো ইসরায়েল
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১২:০১ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল আরও ৩০ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে। এই মৃতদেহগুলোর মধ্যে কয়েকটিতে নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন পাওয়া গেছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির (ICRC) মাধ্যমে এই মৃতদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বেশ কিছু লাশে মারধরের চিহ্ন, হাত বাঁধা ও চোখে কাপড় বাঁধার মতো নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।’ মন্ত্রণালয়ের তথ্যে জানা গেছে, ১৪ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল মোট ১৯৫ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ফিরিয়ে দিয়েছে, যাদের মধ্যে মাত্র ৫৭টি লাশ সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
বছর পর বছর ধরে ইসরায়েলের অবরোধ এবং গাজার পরীক্ষাগার ধ্বংস হওয়ার কারণে ফরেনসিক পরীক্ষা এখন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই নিহতদের পরিবারের সদস্যরা অবশিষ্ট শারীরিক চিহ্ন বা পোশাক দেখে তাদের স্বজনদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এর আগে, একই দিনে গাজার কর্তৃপক্ষ ইসরায়েল কর্তৃক ফেরত দেওয়া ৫৪ জন ফিলিস্তিনির লাশের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করেছে। তাদের অধিকাংশের মুখাবয়ব নির্যাতনের কারণে অস্পষ্ট হওয়ায় সনাক্তকরণ সম্ভব হয়নি।
‘ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু রিট্রিভ মার্টার্স’ বডিস’ এর তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগে ইসরায়েলের হাতে ৭৩৫ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ছিল। পাশাপাশি, ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ ইসরায়েলের সদে তেইমান সামরিক ঘাঁটিতে গাজার প্রায় ১,৫০০ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ আটকা রয়েছে।
আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। এই চুক্তির প্রথম ধাপে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি ও ইসরায়েলের আংশিক সেনা প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছিল। গাজার পুনর্গঠন এবং হামাসকে বাদ দিয়ে নতুন শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাও পরিকল্পনার অংশ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, অক্টোবর ২০২৩ থেকে এই সংঘর্ষে ৬৮,২০০ এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং ১,৭০,৩০০ এর বেশি আহত হয়েছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি