ট্রাম্পকে প্রশ্ন খামেনির: ‘গাজার ২০ হাজারের বেশি শিশু কি সন্ত্রাসী ছিল?’


ট্রাম্পকে প্রশ্ন খামেনির: ‘গাজার ২০ হাজারের বেশি শিশু কি সন্ত্রাসী ছিল?’

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলি খামেনি যুক্তরাষ্ট্রকে গাজার ওপর ইসরায়েলের গণহত্যায় প্রধান সহযোগী আখ্যা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কড়া প্রশ্ন উঠিয়েছেন। সোমবার (২০ অক্টোবর) তার ভাষণে তিনি পশ্চিমা রাজনৈতিক নেতৃত্বের নীতিকে তীব্র সমালোচনা করেন এবং গাজার হতাহত শিশুদের সংখ্যা উল্লেখ করে আমেরিকার অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করেন।

খামেনি বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলছেন যে, তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। চার বছর বয়সী, পাঁচ বছর বয়সী এবং নবজাতক; তোমরা তাদের মধ্যে ২০ হাজারেরও বেশি হত্যা করেছ! এই শিশুরা কি সন্ত্রাসী ছিল? তোমরাই সন্ত্রাসী!’

তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, ‘মার্কিন সম্পদ এবং অস্ত্রশস্ত্র জায়নবাদী সরকারকে প্রচুর পরিমাণে সরবরাহ করা হয়েছে, যাতে গাজার অসহায় জনগণের ওপর তা নিক্ষেপ করা যায়। এই অপরাধের অংশীদার হলো যুক্তরাষ্ট্র।’

সম্প্রতি মিশরে গাজা শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্পের ভাষণের প্রসঙ্গে খামেনি বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট শুধু কিছু কথা এবং বাহবা দিয়ে অধিকৃত ফিলিস্তিনে বসবাসরত হতাশ জ্যনবাদীদের আশা জাগানোর এবং মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অধিকৃত ফিলিস্তিন ভ্রমণ সম্পর্কে এটি আমার বিশ্লেষণ।’

খামেনি সতর্ক করে জোর দেন, ‘ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো জায়নবাদী সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের গভীরতা ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছিল। সশস্ত্র বাহিনী এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ব্যবহার করেছে এবং প্রয়োজনে আবারও এগুলো ব্যবহার করবে।’

তিনি আবার এও বলেন, ‘জায়নবাদীরা আশা করেনি যে, ইরানি যুবকদের তৈরি একটি ক্ষেপণাস্ত্র তার আগুন এবং অগ্নিশিখার সাহায্যে তাদের (ইসরায়েলি) কিছু সংবেদনশীল গবেষণা কেন্দ্রের গভীরতা ছাই করে ফেলবে। কিন্তু তাই ঘটেছে।’

শেষে খামেনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তিক্তভাবে মন্তব্য করে বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট গর্ব করে বলছেন যে, তারা ইরানের পারমাণবিক শিল্পে বোমা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে। খুব ভালো, তোমার স্বপ্নে!’

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×