গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে: ট্রাম্প


গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে: ট্রাম্প

গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন ধাপ শুরু হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি একে ‘দ্বিতীয় পর্ব’ বলে আখ্যা দিয়েছেন, যা শুরু হয়েছে ইসরায়েলি জিম্মিদের মৃতদেহ হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় এখন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ পোস্ট করা এক বার্তায় তিনি বলেন, “গাজায় আটক জীবিত ২০ জন জিম্মির সবাই ফিরে এসেছে। এটা খুবই ভালো হয়েছে, কারণ আমরা এমনটাই প্রত্যাশা করছিলাম।”

ট্রাম্প আরও লেখেন, “যদিও একটি বড় সংকট কেটে গেছে, তবে কাজ এখনও শেষ হয়নি। কারণ সমঝোতা চুক্তির প্রতিশ্রুতি ছিল মৃত সব জিম্মির মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়া হবে; তা এখনও ঘটেনি। তাদের অবশ্যই ফেরত দিতে হবে এবং যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় এখন থেকে শুরু হলো।”

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালিয়েছিল ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস, যেখানে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে হামাস জানায়, তাদের কাছে মোট ৪৮ জন জিম্মি রয়েছে, যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত এবং ২৮ জন মারা গেছে।

এই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে যুদ্ধবিরতির একটি নতুন পরিকল্পনা উত্থাপন করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে হামাস ও ইসরায়েল; উভয় পক্ষই রাজি হলে ১০ অক্টোবর থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। চুক্তির আওতায় হামাসের ওপর ২০ জন জীবিত এবং ২৮ জন মৃত ইসরায়েলি জিম্মিকে হস্তান্তরের শর্ত আরোপ করা হয়।

যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিনে, সোমবার, হামাস নিজেদের কাছে থাকা জীবিত ২০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল সরকার কারাগারে থাকা ৩ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়।

এছাড়া হামাস চারজন মৃত জিম্মির মরদেহও ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে। তবে পূর্ণ সংখ্যক মরদেহ ফেরত না আসায় ক্ষোভে ফুঁসছে ইসরায়েল। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা জানায়, “হামাস যদি বাকি মরদেহগুলো ফিরিয়ে না দেয়, তাহলে গাজার সঙ্গে সীমান্ত পারাপার বন্ধ রাখা এবং সেখানে ত্রাণ প্রবেশ সীমিত করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।”

হামাসের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, কিছু মৃতদেহের অবস্থান নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের দাবি, “জিম্মিদের মরদেহ কোথায় রাখা হয়েছিল, সে সম্পর্কে যারা জানতেন, তারা নিহত হয়েছেন। তাছাড়া ইসরায়েলি হামলায় সেই স্থানগুলোর চিহ্নও নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।”

হামাস আরও জানিয়েছে, বাকি মরদেহগুলোর খোঁজ পেতে সময় লাগবে। এমনকি তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব বলছে, “৭ থেকে ৯ জন জিম্মির মরদেহ আর কখনও খুঁজে পাওয়া যাবে না।”

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×