শহীদ মিনারে বিপুলসংখ্যক শিক্ষকের অবস্থান, শাহবাগ অবরোধ কর্মসূচির প্রস্তুতি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১২:৩৩ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধিসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির তৃতীয় দিনে বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর শাহবাগে অবরোধ কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি তীব্র হচ্ছে। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ শিক্ষকদের উপস্থিতিতে পূর্ণাঙ্গ হয়ে উঠেছে, যেখানে তারা জাতীয় পতাকা ও বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দেন।
অবস্থানকারীরা আশপাশের সড়কের গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছেন এবং মাইক থেকে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে যে, দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। অনেক শিক্ষক ইতোমধ্যেই সেখানে রাত কাটিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী শাহবাগে ব্লকেড কর্মসূচির আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২ ঘটিকায় শাহবাগ ব্লকেড পালিত হবে। সারাদেশের শিক্ষক-কর্মচারীরা দলে দলে যোগ দিন। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।’
এর আগে সোমবার শহীদ মিনার থেকে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান যে, সরকারের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন না আসায় আন্দোলনের পরিধি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে সরকার থেকে এখনো কোনো ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় তারা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ রেখে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।
রাজধানীর শহীদ মিনারে এখনও শতাধিক শিক্ষক অবস্থান করছেন এবং তাদের অনেকের বক্তব্য, ন্যায্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করবেন না। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতেও একই ধরনের কর্মসূচি চলছে, যেখানে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও শ্রেণিকক্ষে না গিয়ে আঙিনা বা শিক্ষক লাউঞ্জে অবস্থান করছেন।
গত রোববার প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচির সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে শিক্ষকরা সারাদেশে পাঠদান বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে রয়েছেন।
শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির সরকারি প্রজ্ঞাপন এবং শিক্ষা জাতীয়করণের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা না প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে।