গাজায় ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সালেহ আলজাফারাওয়িকে গুলি করে হত্যা
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৪:১৬ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

গাজার দক্ষিণাঞ্চলে সংঘর্ষের কভারেজ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তরুণ ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সালেহ আলজাফারাওয়ি। ২৮ বছর বয়সী এই সাংবাদিককে স্থানীয় সময় রোববার গাজা শহরের আল-সাবরা এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমগুলো।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও এবং ছবিতে দেখা গেছে, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর মাটিতে নিথর হয়ে পড়ে আছেন আলজাফারাওয়ি। তিনি তখন ঘটনাস্থলে চলমান সহিংসতা নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন।
আল জাজিরাকে গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, ওই এলাকায় স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এক সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে, যারা দখলদার বাহিনীর সহযোগী বলে অভিযোগ রয়েছে। সংঘর্ষে কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী মিলিশিয়াটিকে ঘিরে ফেলে এবং পরে নিশ্চিত হয় যে, তারা কেবল নিরাপত্তা বাহিনী নয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চল থেকে শহরে ফিরে আসা বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ওপরও হামলা চালিয়েছে।
ঘটনার সময়কার ভিডিওতে দেখা গেছে, আল-সাবরা এলাকায় মন্ত্রণালয়ের সদস্যদের সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠীর তীব্র গোলাগুলি চলছে।
সালেহ আলজাফারাওয়ি গাজা যুদ্ধের সময়কালে অন্যতম পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন সাংবাদিক মহলে। গত দুই বছর ধরে তিনি নিজের ক্যামেরা এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ইসরায়েলি হামলার বিভীষিকা, ধ্বংসযজ্ঞ এবং ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মানবিক দুর্দশা তুলে ধরছিলেন।
মাত্র এক সপ্তাহ আগেই তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে তিনি মুখভরে হাসি নিয়ে হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। মানবিক সংকটের বাস্তব চিত্র তুলে ধরার কারণে আলজাফারাওয়ি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ‘রেড নোটিস’ তালিকায় স্থান পান। এই তালিকায় আছেন আরও কয়েকজন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক, যাদের মধ্যে ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন আনাস আল-শারিফ।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ২৭০ জনের বেশি সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন, যা সাংবাদিকদের জন্য ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ সংঘাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সূত্র: আরব নিউজ