ভারত সফরে এসে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান নিয়ে যা বললেন তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:১২ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২৫

আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বৃহস্পতিবার ভারতের রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছেছেন। ২০২১ সালে পশ্চিমা সমর্থিত আশরাফ গনি সরকারের পতনের পর এটি আফগানিস্তানের উচ্চপর্যায়ের প্রথম প্রতিনিধি সফর। আট দিনের এই সফরে মুত্তাকি দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবেন।
সফরের দ্বিতীয় দিনেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠক করেন আফগান মন্ত্রী। বৈঠকে জয়শংকর ঘোষণা দেন, কাবুলে ভারতের টেকনিক্যাল মিশনকে দূতাবাস মর্যাদা দেওয়া হবে।
বৈঠকের পর দিল্লির আফগান দূতাবাসে সংবাদ সম্মেলন করেন মুত্তাকি। নির্বাচিত সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি বিভিন্ন দেশের বিষয়েও মন্তব্য করেন।
পাকিস্তানকে সতর্ক বার্তা
সম্প্রতি আফগান-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নের পেছনে পাকিস্তানের প্রভাব নিয়ে আলোচনার পর মুত্তাকি পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেন, “আফগানদের সাহস পরীক্ষা করার চেষ্টা করা উচিত নয়।” তিনি কাবুলের সীমান্তে সংঘটিত হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, “সীমান্তের প্রত্যন্ত এলাকায় হামলা হয়েছে। পাকিস্তানের এই কাজকে আমরা ভুল মনে করি। চার দশক পর আফগানিস্তানে শান্তি ও অগ্রগতি হয়েছে। কেউ যদি আফগানদের সাহস পরীক্ষা করতে চায়, তাহলে তাদের উচিত সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সঙ্গে জিজ্ঞাসা করা, যাতে তারা বুঝতে পারে আফগানিস্তানের সঙ্গে খেলা করা ভালো নয়।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বার্তা
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাগরাম বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন সেনা নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রবর্তনের আহ্বান জানালে আফগান সরকার তা দ্রুত প্রত্যাখ্যান করে। দিল্লিতে বসে মুত্তাকি বলেন, “আফগানিস্তান ইতিমধ্যেই প্রমাণ দিয়েছে আমরা সেখানে কোনও সামরিক বাহিনী গ্রহণ করি নি এবং ভবিষ্যতেও করব না।” তিনি আরও বলেন, “আফগানিস্তান একটি সার্বভৌম দেশ এবং তা থাকবেই। সম্পর্ক চাইলে কূটনৈতিক মিশনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হবে; আমরা সামরিক পোশাকধারী কাউকে গ্রহণ করি না।”
এই সফর কূটনীতিক ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে তালেবানের প্রথম উচ্চপর্যায়ের ভারত সফর হিসেবে গুরুত্ব বহন করছে এবং আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে নজর কাড়ছে।